বাংলা হান্ট ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে ভোটটার তালিকা বিশেষ নিবিড় সংশোধন অর্থাৎ এস আই আর এর (SIR) কাজ শুরু হয়েছে। তবে এবার ভুয়া ভোটার ধরতে কৃত্রিম মেধার ব্যবহার করবে নির্বাচন কমিশন। কারণ এ আই এর সাহায্য নিয়ে চিহ্নিত করা হবে সেই সমস্ত ভুয়া ভোটারদের। সূত্রের তরফ থেকে এমনটাই খবর জানা যাচ্ছে। যদিও এই নিয়ে এখনো বেশ কিছু ক্ষেত্রে অসন্তোষ রয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। তবে এবার ভোটার তালিকার ঝাড়াই-বাছাই করতে ও অনুপ্রবেশকারী বা ভুয়ো ভোটারদের চিহ্নিতকরণ করতে এআইকে ব্যবহার করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
নকল ভোটার চিহ্নিত করবে কৃত্রিম মেধা,নির্বাচন কমিশনের বড় পদক্ষেপ (SIR)
ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন অর্থাৎ এস আই আর এর (SIR) কাজ চলছে। তবে এই কাজই নিয়ে এখনো অসন্তোষ রয়ে গিয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির। তাদের মতো ভোটটার তালিকার ঝাড়াই-বাছাই চলল অনুপ্রবেশকারীরা অথবা ভুয়া ভোটাররা রয়ে গিয়েছেন বলে একাধিকবার অভিযোগ তুলেছেন। যদিও সত্যিই এমনটা হয়েছে কিনা সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। অথবা কিভাবে ধরা হবে এই ভুয়া ভোটারদের তা নিয়েও নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ইতিমধ্যে তৈরি করে রেখেছে কমিশন।

আরও পড়ুন: মানুষের পক্ষে যেখানে পৌঁছনো অসম্ভব, সেখানে পৌঁছবে রোবট! যাত্রীসুরক্ষায় বিরাট পদক্ষেপ রেলের
যদিও কমিশন সূত্রের খবর, এবার এই ভুয়া ভোটারদের চিহ্নিত করার জন্য কৃত্রিম মেধা অর্থাৎ এআই (AI) এর সাহায্য নেওয়া হবে। কমিশনের এক আধিকারিক এর কথায়, আমরা পুরো এ আই ফরমেট কাজ করছি। এর ব্যাখ্যায় তিনি জানান, এআই একটি সাধারণ কথা। কিন্তু এর কাজ গভীর। মোদ্দা কথা আমরা ডেটা এনালাইসিস করব। পাশাপাশি করা হবে ডাটা স্ক্যান। যেখানে নিখুঁতভাবে স্ক্যান করা যাবে। এবার সেখানে যদি কোনো তথ্যের গরমিল থাকে তাহলে আমরা তা ধরতে পারবো। এইভাবেই অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর সেখানে যদি কারো বাবার নাম অন্য দেওয়া থাকে বা ২০০২ সালের তালিকার সঙ্গে অসঙ্গতি ধরা পড়ে, তাহলে তাকে আমরা ডেকে পাঠাবো।
কমিশন সূত্রের আরও খবর, এআইয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ভোটারের নাম, ছবি ও আঁধার নম্বর ও মোবাইল নম্বর ও স্ক্যান করা হবে। যেখানে তার বাবা মায়ের নামও স্ক্যান করা হবে এই প্রযুক্তির সাহায্যে। এছাড়াও কমিশনের ব্যাখ্যা, দেশে যে নতুন করে এসআইআর করা হবে সেই বিষয়ে গত জুলাই ঘোষণা করা হয়েছিল। আর এর ঘোষণা করা হয়েছিল বিহারের ভোটের আগে। ফলে তার আগে এই সিদ্ধান্তের কথা সাধারণ জনতার জানার কথা ছিল না। যার কারণবশত ওই সময়ের পরে কোন ভোটারের বাবা মায়ের নামের পরিবর্তন দেখা গেলে তা সন্দেহের তালিকায় থাকাটাই খুব স্বাভাবিক।
তবে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তি অনুযায়ী, কম করে ৪৩ লক্ষের বেশি নাম খসড়া ভোটের তালিকায় থাকবে না। যার মধ্যে মৃত ভোটার রয়েছে তেমনি রয়েছে নিখোঁজ বা অন্যত্র চলে যাওয়ার ভোটারও। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সর্বশেষ প্রায় আটানব্বই হাজার ভোটারকে চিহ্নিত করা গেছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে এই খসড়ায় (SIR) আরও কত জনের নাম বাদ করতে পারে তা এখনো সঠিকভাবে অনুমান করা যায়নি বলে দাবি করেছে কমিশন। তবে কমিশনের সূত্রের কথায়, প্রতিদিনই এই বেটা সংক্রান্তের সংখ্যা পরিবর্তন হচ্ছে। তাই এই মুহূর্তে চূড়ান্তভাবে কিছুই বলা যাচ্ছে না।












