বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এসআইআর (SIR) ঘোষণার পর থেকেই বিপাকে পড়েছেন রাজ্যের অসংখ্য ভোটার। সোমবার থেকে শুরু হওয়া বিশেষ নিবিড় সংশোধনের ঘোষণা হতেই মুখ্য নির্বাচনী দপ্তরের (CEO Office) ওয়েবসাইটে ভিড় জমাতে শুরু করেন মানুষ। দুই দিন ধরে প্রায় এক কোটি মানুষ সাইটে ঢোকার চেষ্টা করেন। এত বিপুল ট্রাফিক সামলাতে না পেরে ওয়েবসাইট ক্রাশ করে গিয়েছে। ফলে ভোটার তালিকায় নিজের নাম খোঁজার ক্ষেত্রে চরম সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ নাগরিকেরা।
NIC-কে চিঠি পাঠাল CEO দপ্তর
বুধবার রাতেই এই সমস্যার কথা জানিয়ে ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টার (NIC)-কে জরুরি চিঠি পাঠিয়েছে মুখ্য নির্বাচনী দপ্তর। সেই চিঠিতে দ্রুত ওয়েবসাইট সচল করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্তও ওয়েবসাইট পুরোপুরি সচল হয়নি বলে জানা গিয়েছে। সিইও দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, “ওয়েবসাইট না চালু হলে ভোটার তালিকা দেখা বা পিডিএফ পাঠানোর কাজ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। এতে বাড়ি বাড়ি এনুমেরেশন ফর্ম দেওয়ার প্রক্রিয়াতেও সমস্যা হবে।”
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগামী ৪ নভেম্বর থেকে রাজ্যের প্রতিটি বুথে বিএলও (BLO)-রা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমেরেশন ফর্ম বিতরণ করবেন। কিন্তু ওয়েবসাইট সচল না থাকলে তালিকা যাচাইয়ের কাজ ব্যাহত হতে পারে। ২০০২ সালের ভোটার তালিকার পিডিএফ পাঠানোর ক্ষেত্রেও এরকম সমস্যার মুখে পড়েছে দপ্তর।
এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়ার টাইমলাইন
উল্লেখ্য, গত সোমবারই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার, দুই কমিশনার এসএস সান্ধু ও বিবেক যোশীকে সঙ্গে নিয়ে দেশের ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) চালুর ঘোষণা করেন। এর পাশাপাশি এসআইআর সম্পর্কিত আরও বিশেষ কিছু তথ্য জানানো হয়। সেগুলি হল –
- খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ৯ ডিসেম্বর।
- অভিযোগ জানানো যাবে ৯ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
- অভিযোগ শোনার কাজ চলবে ৯ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।
- চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ৭ ফেব্রুয়ারি।
ইসির জানানো হয় যারা বিদেশে বা রাজ্যের বাইরে থাকবেন, তারা অনলাইনে ফর্ম পূরণ করতে পারবেন। ‘ইসিআই নেট অ্যাপ’ থেকেই ফর্ম ফিলআপ করা যাবে।

আরও পড়ুনঃ ভোটার তালিকায় কারচুপি রুখতে নয়া উদ্যোগ, হেল্পলাইন চালু করল নির্বাচন কমিশন
প্রসঙ্গত, ভারতে প্রথম বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) হয়েছিল ১৯৫১ সালে। এখন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে মোট আট বার এসআইআর হয়েছে। ২১ বছর পর নবম বারের মতো ফের এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ২০০২ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যেই শেষবার এই কাজ হয়েছিল। এবার দ্বিতীয় পর্বের এসআইআর চালু হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরল, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, গোয়া, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ-এ। পাশাপাশি লাক্ষাদ্বীপ, পুদুচেরি ও আন্দামান-নিকোবরেও চালু হবে। তবে অসমে এবার এসআইআর হচ্ছে না।













