বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে এসআইআর প্রক্রিয়া (SIR in West Bengal)। আজ, ৪ নভেম্বর, মঙ্গলবার থেকে বুথ লেভেল অফিসাররা (BLO) বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের কাছে এনুমারেশন ফর্ম পৌঁছে দেবেন। এর জন্য আগের দিন, অর্থাৎ সোমবার, দক্ষিণ কলকাতার ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রায় ১,৮০০ BLO আলিপুর ট্রেজারি বিল্ডিং থেকে ফর্ম ও প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করেন।
এনুমারেশন ফর্মে ভোটারদের জন্ম তারিখ, আধার নম্বর, মোবাইল নম্বর, অভিভাবকের নাম, এপিক নম্বরসহ নানা তথ্য রাখতে হবে। কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, ১১ নভেম্বর পর্যন্ত ভোটারদের কাছে এই ফর্ম দেওয়া হবে। এরপর BLO-রা নিজ নিজ এলাকার ফর্মগুলি রিসিভ করবেন।
‘তিনবার যেতে হবে’, জানালেন BLO-রা (SIR in West Bengal)
তবে, অনেক BLO-র অভিযোগ, কিট ও ফর্ম বিতরণের প্রক্রিয়ায় কমিশনের ভূমিকা যথেষ্ট বিশৃঙ্খল। এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠেছে যেই বাড়িতে কেউ থাকবে না সে ক্ষেত্রে কি করা হবে? এক BLO বলেন, “একটি বাড়িতে তিনবার যেতে বলা হয়েছে। তারপরও যদি সেখানে কাউকে পাওয়া না যায়, তাহলে ‘পাওয়া যায়নি’ লিখে রেখে আসতে হবে।”
প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে যাদের এনুমারেশন ফর্ম দেওয়া হবে, তাদের নাম BLO-দের নথিভুক্ত করতে হবে। এই তথ্যগুলো পরে BLO অ্যাপে আপলোড করতে হবে। কমিশনের নির্দেশ অনুসারে, আপডেট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেই ডেটা কমিশনের অফিসারদের কাছেও দৃশ্যমান হবে। BLO-দের বলা হয়েছে, ২০০২ সালের ইলেক্টর রেজিস্টারের সঙ্গে নতুন তথ্য মিলিয়ে দেখা হবে। এজন্য BLO-দের বিশেষ অ্যাপ ট্রেনিংও দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার থেকে বিজেপির CAA সহায়তা কেন্দ্র
অন্যদিকে, মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যজুড়ে বিজেপি খুলতে চলেছে CAA সহায়তা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রগুলি ৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত খোলা থাকবে। দলীয় সূত্রে খবর, প্রতিটি জেলা ও মণ্ডল কার্যালয়ে এই সহায়তা কেন্দ্র চালু করা হবে। বিজেপির দাবি, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি দূর করতেই এই উদ্যোগ। তবে, বিজেপির এই পদক্ষেপকে কটাক্ষ করেছে শাসক তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, “CAA নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বিজেপি।”

আরও পড়ুনঃ ‘ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং আর রাতে ঝোপঝাড়ে ডেটিংয়ের আকাশ-পাতাল তফাৎ!’ বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ
এদিকে, এসআইআর-এর বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্টে গেল তামিলনাড়ুর শাসক দল DMK। দলটির সাংগঠনিক সভাপতি আর এস ভারতী দায়ের করেছেন এই মামলা। মামলায় দাবি করা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের ২৭ অক্টোবরের SIR বিজ্ঞপ্তি বাতিল করা হোক। DMK-র বক্তব্য, “SIR বিজ্ঞপ্তি বাতিল না হলে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভোটাধিকার হারাবেন। ভোটাধিকার হারালে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষমতাও হারাবে জনগণ। ফলে সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্ন নির্বাচন সম্ভব হবে না।”













