বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোটার তালিকা নিয়ে জল্পনার অবসান। মঙ্গলবার সকালেই পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জনের খসড়া তালিকা (SIR List) প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। তার মধ্যেই কমিশন সূত্রে জানা যাচ্ছে, খুব শিগগিরই আরও একটি আলাদা খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে, যেখানে যাঁদের শুনানির জন্য ডাকা হবে, তাঁদের নাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে।
খসড়া তালিকার (SIR List) সঙ্গেই আপলোড হবে শুনানির তালিকা
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার যে খসড়া ভোটার তালিকা (SIR List) কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে, সেখানেই এই অতিরিক্ত খসড়া তালিকাটিও আপলোড করা হবে। এই তালিকাকে ভিত্তি করেই বুথ লেভেল অফিসাররা (BLO) বুথে বুথে বসে পরবর্তী ধাপের কাজ শুরু করবেন। এর মূল উদ্দেশ্য হল, কোন কোন ভোটারকে শুনানিতে ডাকা হবে, তা চিহ্নিত করা।
তিন ধাপে হবে পুরো যাচাই প্রক্রিয়া
কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, পুরো নিবিড় পরিমার্জন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে মোট তিনটি ধাপে।
- প্রথম ধাপ: এই ধাপে করা হবে ‘প্রোজিনি ম্যাপিং’। অর্থাৎ, বাবার নাম বা আত্মীয়তার সূত্র ধরে ভোটারদের তথ্য মিলিয়ে দেখা হবে।
- দ্বিতীয় ধাপ: ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম ছিল, তাঁদের ক্ষেত্রে করা হবে ‘সেলফ ম্যাপিং’। পুরনো তালিকার সঙ্গে বর্তমান তথ্যের মিল খুঁজে দেখা হবে।
- তৃতীয় ধাপ: যাঁদের ক্ষেত্রে ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে কোনও আত্মীয়তা বা তথ্যগত যোগসূত্র পাওয়া যাবে না, তাঁদের ‘নো ম্যাপিং’ ক্যাটেগরিতে রাখা হবে।
কারা যাবেন শুনানিতে?
নির্বাচন কমিশন সূত্রে স্পষ্ট করা হয়েছে, মূলত ‘নো ম্যাপিং’ ক্যাটেগরিতে থাকা ভোটারদেরই শুনানিতে ডাকা হবে। এই তালিকায় রয়েছেন সেই সব নাগরিক, যাঁরা নিবিড় পরিমার্জন বা ফিল্ড ইনভেস্টিগেশন রিপোর্ট (FIR) চলাকালীন প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে পারেননি, কিন্তু বর্তমানে ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে।

শুনানিতে কী নথি লাগবে?
শুনানির সময় সংশ্লিষ্ট ভোটারদের নির্ধারিত দিন ও স্থানে হাজির হতে হবে। সঙ্গে রাখতে হবে বৈধ পরিচয়পত্র। এর মধ্যে রয়েছে –
- জন্মের শংসাপত্র
- স্কুলের শংসাপত্র
- মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড
- পাসপোর্ট বা সমমানের সরকারি পরিচয়পত্র
নথি যাচাইয়ের পর যোগ্য ভোটারদের নাম চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় (SIR List) অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।












