বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোমবারের ঘোষণার পর মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যে শুরু হয়ে গেল ভোটার তালিকা সংশোধনী প্রক্রিয়া (SIR)। এদিন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যের নির্বাচনী প্রস্তুতি। সোমবার রাত ১২টা থেকেই পুরনো ভোটার তালিকা ‘ফ্রিজ়’ করা হয়েছে। অর্থাৎ এখন থেকে শুধুমাত্র সংশোধিত তালিকার তথ্যই বিবেচিত হবে।
শুরু এনিউমারেশন ফর্ম ও BLO-দের প্রশিক্ষণ
২৮ অক্টোবর মঙ্গলবার থেকেই শুরু হচ্ছে এনিউমারেশন ফর্ম ছাপার কাজ। একইসঙ্গে বুথ লেভেল অফিসার বা BLO-দের প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। কীভাবে তাঁরা বাড়ি-বাড়ি সমীক্ষা করবেন, কীভাবে তথ্য সংগ্রহ করবেন, তা নিয়েই চলবে বিশেষ প্রশিক্ষণ। এই প্রশিক্ষণ পর্ব এবং ফর্ম ছাপার কাজ চলবে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এদিন বিকেল সাড়ে ৪টেয় সর্বদল বৈঠকও ডেকেছে নির্বাচন কমিশন। সোমবারই কমিশন ঘোষণা করেছে, পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের আরও ১১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে একসঙ্গে এই এসআইআর (SIR) শুরু হচ্ছে।
৪ নভেম্বর থেকে শুরু বাড়ি-বাড়ি সমীক্ষা (SIR)
আগামী ৪ নভেম্বর থেকে বুথ লেভেল অফিসাররা মাঠে নামবেন। অর্থাৎ শুরু হবে ভোটার তালিকার মূল এনিউমারেশন বা বাড়ি-বাড়ি সমীক্ষা (SIR)। নাগরিকদের থেকে জন্ম, ঠিকানা, নাগরিকত্বের নথি যাচাই করা হবে। এই পর্যায়েই আসবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ফর্ম ফিলআপ। নাগরিকদের সঠিক তথ্য ও প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে হবে। এই প্রক্রিয়া চলবে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই তথ্য যাচাই করেই তৈরি হবে খসড়া ভোটার তালিকা।
২০০২ সালের পর ফের ফের ২০২৫-এ সমীক্ষা
এর আগে শেষবার বাংলায় SIR হয়েছিল ২০০২ সালে। তবে সে সময় এত বিস্তারিত নথিপত্র চাওয়া হয়নি। এবারে কমিশন স্পষ্ট করেছে যে, মৃত ভোটারের নাম বাদ দেওয়া, ডুপ্লিকেট ভোটার রেকর্ড মুছে ফেলা, ভুয়ো নাম অপসারণই মূল উদ্দেশ্য। যোগ্য ভোটারের নাম বাদ যাবে না, এমনটাই দাবি কমিশনের। তবে যাঁদের নাম ২০০২ সালের এসআইআর (SIR) তালিকায় ছিল না, তাঁদের উদ্বেগ বাড়ছে। তবে, কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, চিন্তার কিছু নেই। এনিউমারেশন পর্বে ১১টি নির্দিষ্ট নথির মধ্যে যেকোনও একটি দেখাতে পারলেই চলবে।
কোন কোন নথি লাগবে?
- কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারের স্থায়ী কর্মচারীর পরিচয়পত্র (পেনশনভোগীর ক্ষেত্রে পিপিও)
- ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে সরকার, স্থানীয় প্রশাসন, ব্যাঙ্ক, বিমা, পোস্ট অফিস বা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার পরিচয়পত্র বা সার্টিফিকেট
- জন্মের শংসাপত্র
- পাসপোর্ট
- স্বীকৃত বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাগত শংসাপত্র
- রাজ্যে স্থায়ী বসবাসের শংসাপত্র
- এসসি, এসটি, ওবিসি শংসাপত্র
- বনভূমি শংসাপত্র
- সরকারি পারিবারিক রেজিস্টার
- জমির দলিল বা পরচা
- এনআরসি তালিকায় নাম থাকলে সেই নথি

আরও পড়ুনঃ বিহার ও বাংলা, দুই রাজ্যে ভোটার তালিকায় নাম PK-র, বিপাকে ২১-এ তৃণমূলের জয়ের ‘অন্যতম কারিগর’
বিহারে এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়ায় পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আধার কার্ড যুক্ত হয়েছিল প্রামাণ্য হিসেবে। কিন্তু মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার সোমবার জানিয়েছেন, আধার কেবল একটি পরিচয়পত্র, নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। তাই আধার কার্ড থাকলেও ১১টি নথির মধ্যে যেকোনও একটি দেখানো বাধ্যতামূলক।













