‘শুভেন্দু মারলে মমতা মরেই যেত’, মুখ্যমন্ত্রীর কপালের চোট নিয়ে বিস্ফোরক শিশির অধিকারী

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগেই চোট পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কপালে এবং নাকে চোট পেয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো, সেলাইও পড়েছে তাঁর। এবার এই নিয়েই কটাক্ষ করলেন কাঁথির বিদায়ী সাংসদ তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পিতা শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari)। ভোট এলেই মুখ্যমন্ত্রীর আঘাত লাগে, এমন মন্তব্যও করেন তিনি।

শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই অধিকারী পরিবারের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব বাড়তে শুরু করে। সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়েছেন তমলুক কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। আসন্ন লোকসভা ভোটে কাঁথি কেন্দ্র থেকে শিশির-পুত্র সৌমেন্দুকে টিকিট দিয়েছে বিজেপি। ছেলের জন্য ভোট প্রচারে বেরিয়েই মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন প্রবীণ রাজনীতিক।

জানা যাচ্ছে, রামনগরের কালিন্দীতে বিজেপির কর্মীসভায় মমতার মাথায় চোট নিয়ে কটাক্ষ করেন প্রবীণ নেতা। শুধু তাই নয়, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে যে আঘাত লেগেছিল তা নিয়েও মন্তব্য করেন শিশির। কাঁথির বিদায়ী সাংসদ বলেন, ‘কোনও না কোনও ভোট এলেই মুখ্যমন্ত্রীর চোট-আঘাত লাগে। নন্দীগ্রামে যখন পায়ে চোট লাগল তখন বলেছিলেন শুভেন্দু পায়ে মেরে দিল। শুভেন্দু মারলে বাঁচত না। মরেই যেত’।

আরও পড়ুনঃ ফিরল করমণ্ডলের স্মৃতি! ছিটকে গেল সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন সহ ৪ কামরা, আহত প্রচুর

প্রবীণ রাজনীতিকের এই বক্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। মুখ্যমন্ত্রীর আঘাত নিয়ে শিশিরের এই বক্তব্যের পাল্টা দিয়েছে তৃণমূলও (TMC)। জোড়াফুল শিবিরের মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেন, ‘একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদের মুখে এই ধরণের কথা। এমন নির্লজ্জ আচরণ আর কেউ করতে পারে বলে আমার জানা নেই। এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদান্যতাতেই জীবনে প্রথম এবং শেষবার সাংসদ-কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন শিশির অধিকারী। সাংসদ জীবনের সবকিছু উপভোগ করে বিগত কয়েক বছর ধরে বিজেপির হয়ে দালালি করছেন’।

sisir adhikari mamata banerjee head injury

এখানেই না থেমে শান্তনু সেন বলেন, ‘আজ বাংলা তথা দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর চোট নিয়ে কটাক্ষ করছেন। আসলে তাঁর ছেলে শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রী অশ্রাব্য আক্রমণ করেন, কুরুচিকর ভাষায় কটাক্ষ করেন, সেটা কোথা থেকে শিখেছেন বোঝা গেল। জেনেটিক কনফিগারেশনটা কোথা থেকে হয়েছে সেটা প্রমাণ হয়ে গেল, উৎসটা জানা গেল। বাড়িতে যেমন শিক্ষাদীক্ষা পেয়েছেন সেটাও জানা গেল’।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর