বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাংলাদেশে (bangladesh) ‘জুম মিটিং’-এ চলছিল অনলাইন পরীক্ষা। এই সময় কয়েকজন ছাত্র লুঙ্গি (lungi) পরে পরীক্ষা দেওয়ায়, তাঁদের তৎক্ষণাৎ অনলাইন পরীক্ষা থেকে বহিস্কার করার অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশের দিনাজপুরের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বিরুদ্ধে।
যদিও এই বিষয়কে মানতে নারাজ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানিয়েছেন, আরও অনেক ছাত্র লুঙ্গি পরে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। কিন্তু কিছু ছাত্র ইনলাইন পরীক্ষার নিয়ম ভঙ্গ করায় কয়েকজনকে বহিস্কার করা হয়। এমনকি বহিস্কৃত ছাত্ররা পরীক্ষার সুপারভাইজার মহম্মদ শিহাবুল আউয়ালকে ফোন করতে গেলে, তাঁদের নম্বর ব্লক করে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।
বিষয়টা হল, বাংলাদেশের দিনাজপুরের এক ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড প্রসেসিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০ তম ব্যাচের সেমিস্টার পরীক্ষা চলছিল। দুপুর সাড়ে ১২ টা থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষা দিতে বসার পর এক ছাত্রকে ক্যামেরার অ্যাঙ্গেল ঠিক করতে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ছাত্রটি দাবি করেছেন, তিনি ক্যামেরার অ্যাঙ্গেল ঠিক করার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দেখতে পায় তিনি লুঙ্গি পরে পরীক্ষা দিতে বসেছেন। কেন লুঙ্গি পরে পরীক্ষা দিচ্ছেন, জানতে চাওয়া হয় ওই ছাত্রের কাছে। এরপর এই অপরাধে ওই ছাত্র সহ আরও দুজনকে পরীক্ষা থেকে বহিস্কার কার হয়।
এখানেই শেষ নয়, শোনা গিয়েছে পরীক্ষার সময় নকল করার অভিযোগে ২ জন পরীক্ষার্থীকে বহিস্কারও করা হয় এবং একজনের থেকে সময়ের আগেই নিয়ে নেওয়া হয় পরীক্ষার খাতা। যদিও এই বিষয়ে ওই দিন পরীক্ষার সময় উপস্থিত অন্যান্য পরীক্ষার্থীরা কোনরকম মন্তব্য করতে নারাজ।
এবিষয়ে সুপারভাইজার মহম্মদ শিহাবুল আউয়াল জানান, ‘লুঙ্গি পরে আরও অনেকেই পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। কিন্তু ওই ছাত্ররা আমাদের নির্দেশ না মেনে উলটে তর্ক করতে শুরু করে। সতর্ক করার পরও শোনেনি। তাই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এই বিষয়ে লুঙ্গি পরে পরীক্ষা দেওয়ার কোন যোগ নেই’।