বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ফের প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের (All India Trinamool Congress) গোষ্ঠীদ্বন্ধ। বাংলায় (West bengal) শাসক দলের এই সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে ব্যাপকহারে চলল বোমাবাজি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
দুর্নীতির অভিযোগে সরগরম হয়ে উঠল বাংলা। উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে আহত হলেন বেশ কয়েকজন।
দলের সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
সূত্রে জানা যায়, স্ত্রীকে সামনে রেখে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে স্বামী রসিদ আলমের বিরুদ্ধে। ইসলামপুর ব্লকের পন্ডিতপোতা (২) গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পদের অধিকারী কানহাইয়ালাল আগরওয়ালের অনুগামী হলেন রসিদ আলমের স্ত্রী রাজী বেগম। আবার, অন্যদিকে ইসলামপুরের মন্ত্রী তথা বিধায়ক হলেন আবদুল করিম চৌধুরী।
কানহাইয়ালাল আগরওয়ালের অনুগামী রাজী বেগমের স্বামীর নামে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ জানিয়েছেন বিধায়ক করিম চোধুরী অনুগামীরা। তবে এই বিষয়ে বিধায়ক করিম চোধুরী নিজেও আবার অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁদের দাবী ব্লক, মহকুমা এবং জেলা স্তরে এই বিষয়ে জানিয়ে প্রশাসনকে জানালেও, তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
শুরু হয় বোমাবাজি
এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে করিম চৌধুরীর অনুগামীরা পঞ্চায়েতের প্রধান কানহাইয়ালাল আগরওয়ালের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছুঁড়তে থাকে। প্রতিপক্ষের দিক থেকে আগত হামলায় মুখ বুজে না থেকে, জেলা সভাপতি ও গোলাম রব্বানির অনুগামীরাও পাল্টা বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মোতায়েন করা হয় পুলিশ বাহিনী
বোমা বৃষ্টিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। আহতও হন বেশ কয়েকজন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিরাট পুলিশবাহিনী। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে, এই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেই জন্য এলাকায় মোতায়েন করা হয় পুলিশ বাহিনী।
এই বোমাবাজির পরিপ্রেক্ষিতে সরাসরি গোলাম রব্বানির নাম করেই অভিযোগ করেন করিম চৌধুরী। সেইসঙ্গে বলেন কানহাইয়ালাল আগরওয়ালের উস্কানিতেই এই উওপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। গোলাম রব্বানি অবশ্য বলেছেন, এই ঘটনার বিষয়ে তাঁর কিছুই জানা নেই। তবে করিম চৌধুরীর কিছু বলার থাকলে, মিডিয়াকে নয়, তিনি যেন দলের নেতৃত্বকে বলেন।