বাংলা হান্ট ডেস্ক : সম্প্রতি এক ভয়াবহ বিমান দূঘটনার (Plane Crash) সাক্ষী থাকল কানাডা (Canada)। পাহাড়ে ধাক্কা লেগে ভেঙে পড়ল বিমান। বিমানে থাকা সমস্ত যাত্রীকেই মৃত বলে ঘোষণা করেছে কানাডা পুলিশ। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার। কিন্তু কীভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা? কী বলছে কানাডা পুলিশ?
উল্লেখ্য, ঘটনাটি কানাডার আলবের্টা প্রদেশের ক্যালগ্যারি শহরের ঘটনা। জানা যাচ্ছে গত শুক্রবার রাতে ক্যালগ্যারির স্প্রিংব্যাঙ্ক বিমানবন্দর থেকে ওই বিমানটি রওনা দিয়েছিল। বিমানটির গন্তব্য ছিল ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সালমন আর্ম। এইদিন প্রায় রাত ১টা নাগাদ কানাডার জয়েন্ট রেসকিউ কোঅর্ডিনেশন সেন্টার যোগাযোগ করে কানাডা পুলিশের সাথে।
তারা জানায়, বিমানটির সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। বিমানটিকে আর ট্র্যাক করা যাচ্ছেনা। খবর পাওয়া মাত্রই তৎপর হয়ে ওঠে কানাডা পুলিশ। তারা নিখোঁজ বিমানটির সন্ধানে অন্য একটি বিমান পাঠায়। উদ্ধারকারী দল বিমানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায়। ক্যালগ্যারি থেকে অন্তত ৬০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত পাহাড় মাউন্ট বোগার্টে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ পড়ে ছিল বলে খবর।
এরপর সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধারকারী দল নেমে পড়ে যাত্রীদের খোঁজ করতে। তবে কাউকেই জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায়নি। জানা যাচ্ছে, চালক সহ মোট ৫ জন সওয়ারী ছিল ভেতরে। পাহাড়ে ধাক্কা লেগে বিমানটি ভেঙে পড়ে এবং ভেতরে থাকা ৬ জন মানুষই মারা গেছে।
বিমানটির কথা বললে, এতে একটিই ইঞ্জিন ছিল। সিঙ্গেল ইঞ্জিন পিপার পিএ-৩২ বিমানটি আকারে অনেকটাই ছোট। চালক সহ ৬ জন যাত্রীকেই বহন করার ক্ষমতা ছিল বিমানটির। এখন কোন পরিস্থিতিতে বিমানটি ভেঙে পড়ল বা পাহাড়ের সাথে কীভাবে ধাক্কা লাগলো সেটি তদন্ত করছে কানাডা পুলিশ।