বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকালের একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে বর্তমানে মদন মিত্র (Madan Mitra) বনাম এসএসকেএম। দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পরও দুর্ঘটনাগ্রস্ত রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে না পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে SSKM বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA)। তুলেলেন গুচ্ছ-গুচ্ছ অভিযোগ, আর এবার নেতার অভিযোগ অস্বীকার করে থানায় অভিযোগ পিজি’র।
শুক্রবার রাতের ঘটনার পর সাংবাদিক সম্মেলন করলেন পিজি কর্তৃপক্ষ (SSKM)। সেখানে হাসপাতাল তরফে জানানো হয়েছে ট্রমাকেয়ারে গতকাল রাত ১২টা নাগাদ একটা অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছে। এক রোগীকে ভেন্টিলেটরে থাকা অবস্থায় ট্রমাকেয়ারে আনা হলে কর্তব্যরত মহিলা মেডিক্যাল অফিসার বলেন, এভাবে কোনো রোগীকে ভর্তি করা যায় না।
ট্রমাকেয়ারে কোনও ভেন্টিলেশন-বেড খালি ছিলনা বলে জানানো হয়, পাশাপাশি পিজি কর্তৃপক্ষ জানান, প্রায় ৫০০ রোগীকে গতকাল ভর্তি করা হয়েছে। প্রায় ৯০০ রোগী এই বিভাগে এসেছিলেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, পিজির চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে দুর্বব্যহার কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
কোনও কারণে রোগীকে ভর্তি না করানো গেলে হাসপাতালে দালালরাজের কথা বললে মেনে নেওয়া হবে না। বরদাস্ত করা হবে না হুলিগ্যানিজমও। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই তারা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন। স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর আক্রমণ নিয়ে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির সঙ্গে তারা একমত বলেও জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে বাইক দুর্ঘটনায় এসএসকেএম হাসপাতালেরই ল্যাব টেকনিশিয়ান শুভদীপ পাল নামে এক যুবক গুরুতর জখম হন। তাকে নিয়ে ভর্তি করাতে হাসপাতালে ছোটেন খোদ মদন মিত্র। তবে নেতার অভিযোগ, প্রায় ছ’ঘণ্টা অ্যাম্বুল্যান্সেই শুভদীপকে রেখে দিতে হয়। এরপর হাসপাতালে ঢোকার মুখেই পুলিশ এবং কর্মীদের সঙ্গে তিনি বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। বহু চেষ্টার পরও রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো যায়নি বলে অভিযোগ।
কামারহাটির বিধায়ক বলেন, ‘‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ফোন ধরেননি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও জানান, যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। অরূপ বিশ্বাসও চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাকে হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার মেসেজ করে বলেন, রোগীকে দেখা হয়েছে। এই মুহূর্তে তাকে ভর্তি করানোর ক্ষমতা নেই।’’
নেতার প্রশ্ন, “ল্যাব টেকনিশিয়ানের যদি এই অবস্থা হয় তবে সাধারণ মানুষের কী হবে? এখানে টাকার খেলা চলছে। টাকা দিলে তবেই স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়া যায়।” গোটা এই ঘটনায় এসএসকেএম বয়কটের দাবিও জানান নেতা। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন তিনি। মদনের আর্জি, ‘‘যত দিন না মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করছেন, তত দিন ‘পিজিকে না বলুন’। পাশাপাশি যুবকের কিছু হলে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন বিধায়ক।