‘মামলা লড়তে ২৭ লাখ…’, আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়ে বিকাশরঞ্জনকে তোপ কুণালের

বাংলা হান্ট ডেস্ক : দীর্ঘ অপেক্ষা, দীর্ঘ আন্দোলনের পরেও মেলেনি হকের চাকরি। কেউ দিনের পর দিন অনশন করে রয়েছেন তো কেউ মস্তক মুণ্ডন করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। অবশেষে তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। শনিবার ১৬ জনের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনার পর রাজ্যসভার সিপিএম সাংসদ ও আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে (Bikash Ranjan Bhattacharya) নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তিনি।

এইদিন সাংবাদিক সম্মেলনে চাকরিপ্রার্থীদের এই অসহায় অবস্থার জন্য দায় ঠেললেন একাংশ আইনজীবীর উপর। নাম না করলেও তার কথার ঠেস যে কার দিকে ছিল তা আর বুঝতে বাকি থাকেনি কারোরই। তার কথায় ‘ভুয়ো সমবেদনা’ দেখিয়ে চাকরি আটকানোর জন্য আদালতে ছুটছেন এই আইনজীবীরা। স্পষ্ট কথায় তিনি বলেন, ”আপনারা এদের থেকে দূরে থাকুন। চাকরিপ্রার্থীদের অসহায়তা নিয়ে রাজনীতি করবেন না।”

প্রসঙ্গত গত, ২০১৬ সালের SLST-র কর্মশিক্ষা, শারীরশিক্ষা বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন এই আন্দোলনকারীরা। সেই সময় ১৬০০ টি শূন্যপদও তৈরি হয়। শুরু হয় যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়ার তোড়জোড়। কিন্তু এতকিছুর পরেও নিয়োগপত্র আর হাতে পাননি তারা। ফলে পাশ করার পরেও চাকরিতে আর যোগ দেওয়া হয়ে ওঠেনি। এটার জন্য নাকি আইনজীবীরাই দায়ী। আর সেই নিশানায় বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য।

আরও পড়ুন : ‘মোদীর উত্তরসূরি হবেন আরও কট্টর হিন্দুত্ববাদী’, প্রশান্ত কিশোরের মুখে কার নাম? জল্পনা তুঙ্গে

কুণাল ঘোষের ব্যাখ্যা, ‘সুপারিশপত্র থাকা সত্ত্বেও এই চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগপত্র পাচ্ছেন না। আইনি জটিলতা রয়েছে, কারণ নিয়োগের ক্ষেত্রে আদালতের স্থগিতাদেশ রয়েছে। এক শ্রেণির আইনজীবী চাকরিপ্রার্থীদের সর্বনাশ করছেন। মিথ্যে সমবেদনার নাম করে এদের মামলা লড়ার পরামর্শ দিচ্ছেন, অন্যদিকে বিরুদ্ধে পক্ষের হয়ে মামলা লড়ছেন।’ সেই সাথে তিনি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে সুপারিশপত্র এলেও মামলার কারণেই নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে আছে।

আরও পড়ুন : লোকসভায় বিজেপির টার্গেট ৩৫০! মোদীর নয়া চ্যালেঞ্জ শুনে আতঙ্কে বিরোধীরা

এখানেই শেষ নয়, এরপর তো রীতিমত বোমা ফাটিয়েছেন তিনি। কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বলতে বাধ্য হচ্ছি, বিকাশ ভট্টাচার্য ও তার সঙ্গী আইনজীবীরা মামলা লড়ার জন্য এই যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের থেকে ২৭ লাখ টাকা নিয়েছেন। এই তিনি গরিবের নেতা! এখন অযোগ্যপ্রার্থীদের দিয়ে মামলা করিয়ে যোগ্যদের চাকরি আটকে রেখেছেন। বিকাশবাবু দয়া করে এদের রাজনীতির জন্য ব্যবহার করবেন না।’ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘কোনও আইনজীবী লাখ লাখ টাকা রোজগার করলে ওর যদি দুঃখ হয়ে থাকে, যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি দিলেই হয়ে যায়। তাহলে আর মামলার জায়গা থাকে না। কুণালবাবু আমার এই চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ করুন। মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়ে যোগ্যদের চাকরির বন্দোবস্ত করুন।’


Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর