বাংলাহান্ট ডেস্ক : ডালহৌসিতে ভাতের হোটেল চালিয়ে খবরে শিরোনামে উঠে এসেছিলেন স্মার্ট দিদি নন্দিনী। এরপর জনপ্রিয়তা বাড়তেই একটি আকাঙ্খা মোড়ে ও আরেকটি ডিএলফ ২-তে দোকান খোলেন। কিন্তু এই তিনটি দোকানের চাপই কী কাল হল স্মার্ট দিদি নন্দিনীর জীবনে?
একথা বলার কারণ অবশ্য একটাই। সম্প্রতি স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন জনপ্রিয় এই পাইস হোটেলের মালকিন। প্রথমে নন্দিনীর বাবার একটা ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়াতে। সেখানেই মেয়ের অসুস্থতার কথা জানার নন্দিনীর বাবা। এরপর কিছুদিন বিশ্রাম নিয়ে ফের নন্দিনী দোকানের কাজে যোগ দিতে তাকে ঘিরে ধরেন ইউটিউবাররা।
আরোও পড়ুন : এবার এইসব ব্যক্তিদের জন্য নেওয়া হল বড় উদ্যোগ! রেশন কার্ড নিয়ে নয়া ঘোষণা সুপ্রিম কোর্টের
স্মার্ট দিদি নন্দিনী জানান, সরস্বতী পুজোর দিন সকাল থেকেই তার শরীরটা খারাপ লাগতে শুরু করেছিল। পরের দিন ডাক্তারের কাছে যেতেই মাইল্ড স্ট্রোকের বিষয়টি সামনে আসে। নন্দিনী বলেন, ‘এখন অনেকটা ভালো আছি। তাই খুশি। আর খুশি না থেকেও তো উপায় নেই। জীবনে কোনওকিছুই তো থেকে যায় না। এই খুশিটাই থেকে যায়।’
আরোও পড়ুন : বসন্ত এসে গেছে! আজ থেকেই ছোট হবে রাত, আর দিন বড়! পাল্টাবে সারা পৃথিবীর আবহাওয়া
এরপর যোগ করেন, ‘১৪ তারিখ সকাল থেকে পেটখারাপ হয়েছিল। ২৫-৩০বার বাথরুমে যেতে হয়। খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। তারপর ডাক্তার বলে মাইল্ড একটা স্ট্রোক ছিল। এখন অনেকটাই ভালো আছি। তাও শরীরে একটা প্রভাব তো পড়েই। কদিন ধরে মানসিক একটু চাপেও রয়েছি। সেই কারণেও হতে পারে।’
নন্দিনীর স্ট্রোকের খবর চাউর হতেই কেউ কেউ আবার নন্দিনীর অসুস্থতা নিয়ে ট্রোল করতেও শুরু করেন। এক ব্যক্তির কথায়, ‘সল্টলেকের দোকানটা বন্ধ নাকি? ডালহৌসি থেকে ভিডিয়ো বানাতে হচ্ছে!’ পাশাপাশি দ্বিতীয় কটাক্ষকারীর মন্তব্য, ‘পেট খারাপ তারপর স্ট্রোক… ব্যাপারটা তো হজম হচ্ছে না বস’!
তবে, ট্রোলিংয়ের পাশাপাশি নন্দিনীর অসুস্থতার খবরে বেশ চিন্তিত নেট-নাগরিকরা। একজন কমেন্ট করলেন, ‘এত ছোট বয়সে স্ট্রোক! ভগবান তোমার মঙ্গল করুক।’ আরেকজন লিখলেন, ‘বেশি চিন্তা করে লাভ নেই। অল্পে খুশি থাকো। যত বেশি কাজ নিয়ে ভাববে, মানসিক চাপ বাড়বে। রোগ বাসা বাঁধবে শরীরে।’