বাংলাহান্ট ডেস্কঃ স্মার্টফোন, সকালে ঘুম ভাঙা থেকে রাতে শুতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত আমাদের সর্বক্ষনের সঙ্গী। আমাদের এক মুহূর্ত মোবাইল ফোন ছাড়া কার্যত অচল। কিন্তু মূক ও বধিররা সেভাবে ফোন ব্যবহার করতে পারেন না।চিরাচরিত বড় মোবাইল নির্মান সংস্থাগুলিও ভাবেনি তাদের কথা। ভাবলেন কালনার গোবিন্দ মণ্ডল।
মুক-বধিরদের জন্য বিশেষ স্মার্টফোন তৈরি করে ফেললেন এই ব্যক্তি। এতে এই বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্নরা করতে পারবেন ভাবের আদান প্রদান। হাত নেড়ে বা অঙ্গভঙ্গি করে নয়, অনেক সহজেই ভাব বিনিময় করতে পারবেন মূক ও বধিরেরা। যন্ত্রটির নাম তিনি দিয়েছে কমিনিকেশন মেথড ডিভাইস। কালনার বাসিন্দা মূক ও বধির চন্দ্রানী সাহাকে এই বিশেষ ফোন উপহার দেন গোবিন্দবাবু। যন্ত্রটি ব্যবহার করার পদ্ধতিটিও শিখিয়েও দেন তিনি।
আবিষ্কর্তা গোবিন্দ মণ্ডল জানিয়েছেন, একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সঙ্গে মাইক্রোফোন ও স্পিকার যুক্ত করে তৈরি হয়েছে এই কমিনিকেশন মেথড ডিভাইস। তার সাথে রয়েছে একটি বিশেষ সফটওয়্যার। এই সফটওয়ার ও হার্ডওয়ার মিলিত ভাবে ফোনের এপারে থাকা ব্যক্তির বক্তব্য লিখিতভাবে স্ক্রিনে ভেসে উঠবে বিশেষ ওই স্মার্টফোন ব্যবহারকারী বিশেষভাবে সক্ষম ব্যবহারকারীর কাছে। অপরদিকে ওই স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর লিখিত বক্তব্য শব্দে রূপান্তর করবে কমিনিকেশন মেথড ডিভাইস। যা শুনতে পারবে অপর প্রান্তের মানুষটি। এর ফলে দুপক্ষই আরো সহজ ও সাবলীল ভাবে একে অপরের সাথে ভাব বিনিময় করতে পারবে।
চন্দ্রানী সাহা নামে ওই ছাত্রীর বিয়ে কলকাতার কৈখালির বাসিন্দা সোমনাথ মাঝির সঙ্গে| তিনিও মূক ও বধির। তাকেও এই যন্ত্র উপহার দেওয়ার ইচ্ছে গোবিন্দবাবুর। ইতিমধ্যেই একটি সংস্থার তরফে যন্ত্রের পেটেন্টও পেয়েছেন গোবিন্দবাবু।