বাংলাহান্ট ডেস্ক: জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় যাঁরা বাংলার মুখ উজ্জ্বল করছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিক (snigdhajit bhowmik)। ২০১৯ এ বাংলা সা রে গা মা পার প্রতিযোগী হয়েছিলেন তিনি। সেবারে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছিলেন স্নিগ্ধজিৎ। কিন্তু জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় ইতিমধ্যেই টপ ১৬ তে জায়গা দখল করে ফেলেছেন তিনি। জি টিভির সা রে গা মা পার বাছাই পর্বেই স্নিগ্ধজিতের সুরেলা কণ্ঠে মুগ্ধ সকলে। বিচারক বিশাল ডাডলানি নিজে এসে মেডেল পরিয়ে দিয়েছেন তাঁর গলায়।
বাছাই পর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে বিচারক ও জুরি সদস্যের প্রভূত প্রশংসার পর আবেগঘন হয়ে পড়েছিলেন স্নিগ্ধজিৎ। মঞ্চে দাঁড়িয়েই চোখ ভিজে ওঠে তাঁর। এদিন মঞ্চে দাঁড়িয়ে স্ত্রী অদিতির সঙ্গে ভিডিও কলে কথাও বলেন তিনি। স্ত্রীকে মেডেল দেখান স্নিগ্ধজিৎ, অভিনন্দন জানান অদিতি। ভিডিও কলে অদিতির পেছনে ঘরের চিড় ধরা দেওয়াল দেখা গিয়েছিল।
এই ভিডিও নিয়েই নেটিজেনদের একাংশ নিন্দা শুরু করেছেন স্নিগ্ধজিতের। তাঁদের বক্তব্য, স্ত্রীকে টালির চালের মাটির বাড়িতে রেখে ক্যামেরার সামনে নাটক করছেন গায়ক। বুধবার সোশ্যাল মিডিয়া লাইভে এসে নিন্দুকদের সমস্ত অভিযোগের জবাব দেন স্নিগ্ধজিৎ।
তিনি স্পষ্ট জানান, কোনো নাটক তিনি করেননি। আসলে অদিতি তাঁদের গ্রামের বাড়িতে রয়েছেন। ওই বাড়ি থেকেই স্নিগ্ধজিতের লড়াই শুরু। কিন্তু গায়ক জানান, এখন তাঁদের অবস্থা অনেকটাই সচ্ছ্বল। আসলে স্নিগ্ধজিতের মা অসু্স্থ হয়ে নার্সিং হোমে ভর্তি ছিলেন। সম্প্রতি বাড়ি ফিরেছেন তিনি। সেই কারণেই গ্রামের বাড়িতে ছিলেন অদিতি।
স্নিগ্ধজিতের কথায়, “স্ত্রীকে মাটির বাড়িতে রেখে সহানুভূতি কুড়াবো এমন মানসিকতা আমার নেই।” অবশ্য নিন্দুকদের অভিযোগের এখানেই শেষ নেই। অনেকের দাবি, বাংলা সা রে গা মা পায় দ্বিতীয় হওয়ার সুবাদে অতিরিক্ত সুবিধা পাচ্ছেন স্নিগ্ধজিৎ। স্পষ্ট উত্তর দিয়েছেন গায়ক। তাঁর বক্তব্য, ওটা জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতা।
স্নিগ্ধজিৎ বলেন, “কলকাতায় একবার, তারপর মুম্বইতে চারবার অডিশন দিয়ে তারপর টপ ১৬ য় নির্বাচিত হয়েছি। আমিও লাইনে দাঁড়িয়েছি। যাঁরা আমার উপরে ভরসা রেখেছেন তাঁদের ভরসার মর্যাদাটা রাখতে চাই।”