বাংলাহান্ট ডেস্ক : দিঘার(digha) সমুদ্র সৈকতে ইলিশের(hilsa fish) ঝাঁক, অনুকূল পরিবেশ পেয়ে এক্কেবারে সমুদ্রের পাড়ে চলে আসছে ইলিশের ঝাঁক।দীর্ঘদিন ধরে চলছে লকডাউন। পর্যটকশূন্য দিঘায় পাল্টে গেছে জলের রঙও। আর পরিবেশের এই অবস্থায় সমুদ্রে বেড়েছে ইলিশের দল। একমাত্র সাক্ষী সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার স্থায়ী বাসিন্দারা, তারা দেখছেন জোয়ারের সময় প্রায়ই বাঁধাই বিচের কাছে লাফালাফি করছে এক থেকে দেড় কিলো ওজনের ইলিশের ঝাঁক। করোনা পরিস্থিতি মানতে সবাই এখন ঘরে বসে বন্ধ সব পর্যটন কেন্দ্র।প্রায় তিন মাস ধরে সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে পারেননি মৎস্যজীবীরা। আর এখন করোনা রুখতে গত প্রায় দু’মাস ধরে টানা লকডাউন।আর জেলেরাও তেমন ভাবে জলে ট্রলার নামাচ্ছে না অনেকদিন ধরেই। আর এই দূষণমুক্ত সমুদ্র আর স্বচ্ছ জল পেয়ে লাফিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে ঝাঁক ঝাঁক ইলিশ।
মৎসজীবীরা জানিয়েছেন লক ডাউনে মাছ তোলা কমেছে
দিঘার এক মৎস্যজীবী জানান কোরোনার কারণে অনেক দিনে ধরে ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে যাওয়ার হয়ে নি। আর এর আগেই তার অবস্থা স্বচ্ছল ছিলো মাছ তুলে বাজারে বিক্রি করতো কিন্তু কোনোদিন তিনি eto মাছ এক জায়গায় দেখেনি তিনি বলেন, ‘‘আমার এত বছরের জীবনে এমনটা কখনই দেখিনি। সমুদ্রের এমন রং যেমন আগে দেখিনি, তেমনই ইলিশ মাছ এসে পাড়ে লাফাচ্ছে এমনও দেখিনি কখনও।’’
মৎস্য বিশেষজ্ঞ শ্যামসুন্দর দাসের বক্তব্য
মৎস্য বিশেষজ্ঞ শ্যামসুন্দর দাস বলেন ইলিশ স্বচ্ছ জলে থাকতে পছন্দ করে। তাই বর্ষার পরে মোহনার কাছে গিয়ে এর দেখা মেলে। আর দীর্ঘদিন বন্ধ পর্যটন কেন্দ্র এখানে জল আর পরিবেশ আগের থেকে ভালো হয়েছে টাই এতো মাছ এসেছে।এমনকি দূষণ কমায় দেখা গেছে নানা পাখি এবং পরিযায়ী পাখি। আর ডলফিনও দেখা গেছে দিঘার সমুদ্রের সৈকতে।