বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল (All India Trinamool Congress) সাংসদ তথা অভিনেতা দীপক অধিকারীর (দেব Dev)) গ্রাম পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে ২০০টি বিজেপি (Bharatiya Janata Party) পরিবার সামাজিক বয়কটের শিকার হয়েছে। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী মন্তা, বাগরুই, বাগপোতা, কলাগ্রাম, ঝেতলা সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে বিজেপি সমর্থক পরিবারকে বয়কট করা হয়েছে। আতঙ্কে বিজেপির সমর্থক পুরুষরা ঘরছাড়াও হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে যে, পাড়ার দোকান সহ বাজার, রেশন এবং অনেক পরিষেবা থেকেই বিজেপির সমর্থক পরিবারদের বয়কট করা হয়েছে। এছাড়াও বিজপির সমর্থক হওয়ার অপরাধে পুরুষদের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে। ঘরছাড়া পুরুষরা বাধ্য হয়ে বিজেপির নানান পার্টি অফিসে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ফের শাসক দলকে একহাতে নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি।
নির্যাতিত বিজেপির কর্মীরা পুলিশের কাছেও অভিযোগ করেছে। কিন্তু প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও বন্দোবস্ত করা হয়নি বলে অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের। ঘাটাল সাংবিধানিক জেলার বিজেপি সভাপতি তন্ময় দাস অভিযোগ করে বলেছেন, বিজেপি করার অপরাধেই এভাবে মানুষকে হেনস্থা করা হচ্ছে। যদিও ওনার দাবি নস্যাৎ করেছে তৃণমূল। INTTUC- র রাজ্য সভানেত্রী দোলা সেনপাল্টা দাবি করে বলেছেন যে, কেউ ঘরছাড়া নেই। বিজেপির সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্যই এই কাজ করছে গেরুয়া শিবির।
উল্লেখ্য, কদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি লিফলেট ভাইরাল হয়েছিল, যেখানে বিজেপির নেতা-কর্মীদের নাম উল্লেখ করে তাঁদের দোকান থেকে পণ্য না দেওয়ার ফতোয়া জারি করা হয়েছিল। ওই লিফলেটটি কেশপুরের মহিষদা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ছাপানো হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিল বিজেপি। যদিও, তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী ফেসবুকে একটি পোস্ট করে দাবি করেছিলেন যে, লিফলেটটি ভুয়ো।
এছাড়াও ঘাটালের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ককেও ফতোয়া দিতে দেখা গিয়েছিল। ওনার বিরুদ্ধে ঘাটালের দুটি ওয়ার্ডে যেখানে তৃণমূল পিছিয়ে ছিল সেখানে পঞ্চায়েতের সমস্ত পরিষেবা বন্ধ করার ফতোয়া জারির অভিযোগ উঠেছিল। আর ওনার এই ফতোয়া জারির ফলে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধান নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন।