বাংলা হান্ট ডেস্ক : করোনা সংক্রমন রুখতে একে অপরের সাথে শারীরিক দূরত্ব মেনে চলা উচিৎ তবে দেখা যায়,করোনা সংক্রমনের প্রথমদিকে ‘শারীরিক দূরত্বের’ বদলে ‘সামাজিক দূরত্ব’ কথাটির প্রচলন হয়। এতদিন পর্যন্ত গোটা দেশজুড়ে সমস্ত রকম করোনার বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হতো এই ‘সামাজিক দূরত্ব’ শব্দটি তবে এবার থেকে গোটা দেশজুড়ে করোনার বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে ‘সামাজিক দূরত্বের’ বদলে ব্যবহৃত হবে ‘শারীরিক দূরত্ব’ কথাটি।
দেশের প্রত্যেক রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রথম পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এই দাবি করেন। তিনি বলেন, সামাজিক দূরত্ব কথাটিতে মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি হয়। করোনা রোগীরা আরও বেশি মানসিক সমস্যায় পড়েন। তাই ‘সামাজিক দূরত্বের’ পরিবর্তে ব্যবহার করা হোক ‘শারীরিক দূরত্ব’ কথাটি। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই দাবি মেনে নিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক।
‘সামাজিক দূরত্ব’ বা ‘সোশ্যাল ডিসটেন্স’ কথাটি অপছন্দ ছিল অনেকেরই।বিশেষজ্ঞদের ধারণা ছিল, এই শব্দটি ব্যাবহারের ফলে করোনা রোগীদের সামাজিকভাবে বয়কট করার প্রবণতা বাড়তে পারে। আর এই মহামারীর আবহে পারস্পরিক সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরী। অসুস্থ অবস্থায় সামাজিক বয়কটের শিকার হলে করোনা আক্রান্তদের মানসিক সমস্যা আরও বাড়তে পারে। সেই তুলনায় ‘শারীরিক দূরত্ব’ কথাটি অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য।
প্রথমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সোশ্যাল ডিসটেন্স’ এর পরিবর্তে ‘ফিজিক্যাল ডিসটেন্স’ কথাটি ব্যবহার করার পক্ষে প্রশ্ন তোলেন। তারপর তৃণমূলের রাজ্যসভার সংসদ তথা ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সান্তনু এই বিষয়টিই সংসদে উত্থাপন করেন। শেষমেষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এবং সান্তনুর দাবি মেনে নেয় কেন্দ্র। এবং চিঠিতে উত্তরে জানিয়ে দেয়, এবার থেকে গোটা দেশজুড়ে ‘সোশ্যাল ডিসটেন্স’ নয় ব্যবহার করা হবে ‘ফিজিক্যালি ডিসটেন্স’ কথাটি।