সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার যুবতীকে ১০ জন মিলে গণধর্ষণ, ৪০ ঘণ্টা পরেও পুলিশের হাত খালি

বাংলাহান্ট ডেস্ক : মর্মান্তিক ঘটনায় শিহরিত ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand)। আরও একবার দেখা গেল দিল্লির ছায়া। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এক তরুণীকে (Gangrape to a software engineer girl) রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হল। তাঁকে অপহরণ করে প্রথমে ১০ জন মিলে গণধর্ষণ করে। তারপর চলে মারধর। পরে তাঁকে নির্জন রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। ক্ষতবিক্ষত তরুণী রক্তাক্ত অবস্থায় কোনও ভাবে বাড়ি ফিরে আসেন। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি তিনি। ঘটনার সময় সঙ্গে ছিলেন তরুণীর পুরুষবন্ধু। তাঁকে বেধড়ক মারধরের পরই তরুণীর উপর অত্যাচার চালায় অভিযুক্তরা।

পুলি সূত্রে জানা যাচ্ছে, ঘটনাটি ঘটে গত ২০ অক্টোবরের। পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার তরুণী বর্তমানে ওয়ার্ক হোম পদ্ধতিতে বাড়ি থেকে কাজ করছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা এক পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে মোটরবাইকে চেপে ঘুরতে বের হন। চাইবাসায় (Chaibasa) একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’জন কথা বলছিলেন। তখনই আট থেকে দশজন দুষ্কৃতী ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে তাঁদেরকে ঘিরে ফেলে। তারা প্রথমে তরুণীর বন্ধুকে বেধড়ক মারধর করে। এরপর তরুণীকে মারতে মারতে জোর করে একটি গাড়িতে তুলে নেয়।

নির্যাতিতার বয়ান থেকে জানা যাচ্ছে, এরপর তাঁকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ১০ জন মিলে ধর্ষণ করে। তাঁকে নির্মম ভাবে মারধরও করা হয় এরপর। একটানা ভয়ংকর নির্যাতন চালানোর পর আবার তাঁকে গাড়িতে তুলে চাইবাসার নির্জন রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। যাওয়ার সময় তরুণীর টাকার ব্যাগ ও মোবাইল ফোনটিও নিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে গুরুতর আহত তরুণী কোনওরকমে নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন।

পরিবারের লোকেরা দ্রুত তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করেন। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই তরুণী। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস। ১০ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে চাইবাসা থানার পুলিস। তবে ঘটনার প্রায় ৪০ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও পুলিস কাউকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি বলে জানা যাচ্ছে।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর