কল্যাণীর টুইন টাওয়ার মণ্ডপে চরম হুলস্থূল, লাঠি-বাঁশ নিয়ে মারধর একে অপরকে! ভাইরাল ভিডিও

বাংলাহান্ট ডেস্ক : নদীয়ার কল্যাণীর আইআইটি মোড়ের দুর্গোৎসব কমিটির এবারে আয়োজন করেছে বিশেষ এক থিমের। পুজো মণ্ডপ তৈরি হয়েছে মালয়েশিয়ার টুইন টাওয়ারের অনুকরণে। এই বিশাল মণ্ডপে রয়েছে চমকপ্রদ আলোকসজ্জা ও সাউন্ড এর ব্যবস্থা। পুজো উদ্যোক্তারাও জাঁকজমক এর সাথে বহুদিন ধরেই এই পুজোর প্রচার চালাচ্ছিলেন। শুধু নদীয়া বাসি নয় কলকাতা থেকে শুরু করে আশেপাশের সব জেলার মানুষের মনে এই টুইন টাওয়ারকে দেখতে যাওয়ার উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল প্রবলভাবে। মন্ডপের উচ্চতা প্রায় দেড়শ ফুট। মহালয়া থেকেই দর্শনার্থীদের ঢল নামে এই টুইন টাওয়ার মন্ডপে। পদপিষ্ট হয়ে যাওয়ার মতন ভিড় এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় এই মন্ডপে।

কিন্তু চতুর্থীর দিন সন্ধ্যেবেলা ঘটে যায় এক ভয়ংকর ঘটনা। দর্শনার্থীদের ভিড় সামলাতে না পেরে পুজো কমিটির ভলেন্টিয়াররা বাঁশ হাতে হঠাৎ করেই এলোপাথাড়ি পেটাতে শুরু করে দর্শনার্থীদের। দর্শনার্থীদের সাথে ভলেন্টিয়ারদের মারামারি হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। বাঁশ নিয়ে পেটানোর ফলে কিছু কিছু ভলেন্টিয়ার ও দর্শনার্থী গুরুতর ভাবে আহত হয়েছে।

রক্তাক্ত হয়েছে পূজা মন্ডপ। ঘটনা সালে বিশৃঙ্খলা এড়াতে এবং পরিস্থিতি সামলাতে পুজো মণ্ডপে হস্তক্ষেপ করে স্থানীয় পুলিশ। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি প্রথমে আরো জটিল আকার ধারণ করে। দূর দূরান্ত থেকে যাওয়া দর্শনার্থীরা কেউ কেউ পেটানি খেয়ে কেউ বা প্রাণের দায় পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে প্রাণপণে ছোটা ছুটি করতে থাকে। ঝামেলা এড়াতে প্যান্ডেল থেকে পালাতে থাকে দর্শনার্থীরা।

কেন এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হল? প্রশ্ন উঠেছে দর্শনার্থী মহলে। মন্ডপের অধিকতারা জানিয়েছেন, তারা ভাবতে পারেননি এত পরিমান দর্শকের ঢল নামতে পারে এই মন্ডপে। কিন্তু পরবর্তীতে ভলেন্টিয়ারদের আর এই ভুল হবে না। এরপর পঞ্চমী থেকে মন্ডপে প্রবেশ এবং প্রস্থানের রাস্তা যথাসম্ভব শৃঙ্খলা মেনে নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানিয়েছে পুজো কর্তৃপক্ষ থেকে। এখন থেকে পুজো মন্ডপে থাকবে পুলিশ। তবে বৃষ্টির জেরে সাউন্ড এবং আলোকসজ্জা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখছে মন্ডপ কর্তৃপক্ষ।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর