বাংলাহান্ট ডেস্ক : বীরভূমের (Birbhum) চাঁদপাড়া এলাকায় অবস্থিত এই স্কুল ২০১২ সালের ২ রা জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা হয়। তখন স্কুলটি ছিল অষ্টম শ্রেণি অবধি তারপরে এটি দশম স্তরে উত্তীর্ণ হয় । বর্তমানে স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা ৩০০ হলেও শিক্ষক সংখ্যা মাত্র ২ জন । একজন শিক্ষিকা আবার রয়েছেন মাতৃত্ব কালীন ছুটিতে ।তাই স্কুল কে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছেন স্থানীয় বাসিন্দারাই ।
স্থানীয় গৃহ শিক্ষকদের মতে, চাঁদপাড়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়কে বাঁচানোর দায়িত্ব একমাত্র সরকারের নয়, গ্রামবাসী ও গৃহশিক্ষকদেরও এগিয়ে আসতে হবে এই সুন্দর কাজে। তাই তারা বর্তমানে এক দশক ধরে বিনামূল্যে, স্বেচ্ছায় শিক্ষকতা করে আসছেন এই স্কুলে। শিক্ষাদান করছেন ছাত্র-ছাত্রীদের। বীরভূমের রামপুর হাটের চাঁদ পাড়া এলাকায় চাঁদ পাড়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় সাক্ষী হয়ে রইলো এমনই এক অভিনব কর্মসূচির।
ওই বিদ্যালয়ে বর্তমানে গণিত শিক্ষক নেই। স্থানীয় এক গৃহশিক্ষক সুব্রত মণ্ডলের মতে ” আমি অঙ্কের গৃহ শিক্ষকতা করি । অংক করতে আমার ভালোলাগে । সময় পেলেই এখানে আসি , বিনামূল্যে পড়াই , এতে আমার কোনো অভিযোগ নেই , আমার ভালোলাগে তাই পড়াই।”
স্থানীয় আরেকজন বাসিন্দা সমর্কুমার সিনহা জানান ,” এই স্কুল অনেক প্রচেষ্ঠার ফসল । আগে এখানে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরা পড়াতেন , এখন তরুণ প্রজন্ম ও এগিয়ে আসছে । গ্রামের মেয়েদের শিক্ষিত করতে এই প্রচেষ্টা । ”
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা পূর্ণিমা সরকার বলেন ” স্কুলে মাত্র আমরা দুইজন শিক্ষিকা , বর্তমানে একজন মাতৃত্ব কালীন ছুটিতে আছেন । গ্রামের মানুষ না থাকলে এই বিদ্যালয় চালানো কঠিন হতো । আরো শিক্ষক হলে ভালো হয় । শিক্ষক না পেলে হয়তো স্কুলটা বন্ধ হয়ে যাবে । আমরা সেটা চাইনা । এই স্কুলের প্রথম দিনের পথচলা থেকে আমি আছি । আমি এই স্কুলের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছি। এই স্কুল আমার আবেগ। আরো শিক্ষক হলে খুব ভালো হয়।”