বাংলা হান্ট ডেস্কঃ IAS আধিকারিক সোমেশ উপাধ্যায় শত শত বছর ভারতে শাসন করা ইসলামিক শাসকদের নিয়ে ট্যুইটারে একটি পোস্ট করেন। ওনার এই পোস্টের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় চরম বিতর্ক ছড়ায়। অনেকেই যেমন ওনার সমর্থন করেন, তেমন অনেক মানুষই ওনার এই পোস্টের বিরোধিতা করেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদও জানান। সোমেশ উপাধ্যায় ট্যুইট করে লেখেন, যখন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় (oxford university) বানানো হচ্ছিল, তখন আমাদের দেশের মুসলিম শাসকেরা নিজেদের এবং নিজেদের প্রিয় মানুষের সমাধি বানাতে ব্যস্ত ছিলেন।
Oxford University was established around the time when Sultans out here were busy investing in their own Tombs.
It is all about the choices we make..— Somesh Upadhyay, IAS (@Somesh_IAS) July 20, 2020
আপনাদের জানিয়ে দিই, ভারতে যখন মুঘল সাম্রাজ্যের শাসন চরমে ছিল, তখন ব্রিটেনে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছিল। মাহমুদ গজনভী ১০২৪ খ্রিষ্টাব্দে ভারতে হামলা করেছিল। সেই সময় মাহমুদ গজনভী গুজরাটের সোমনাথ মন্দিরে লুটপাট চালিয়েছিল। আর এর ঠিক পাঁচ বছর পর ব্রিটেনে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়য়ের স্থাপনা হয়েছিল। এরপর ১১৭৫ খ্রিষ্টাব্দে মেহমুদ ঘোরি ভারতে হামলা চালায়।
Oxford University was established when Brahmin Upadhyays were busy inflicting atrocities on Dalits & taking away their right to education.
It’s all about entrenched bigotry which continues even today in India’s civil services.. https://t.co/oiNgicbZGf
— Saket Gokhale (@SaketGokhale) July 22, 2020
IAS আধিকারিক সোমেশ উপাধ্যায়ের ট্যুইটের পর ভারতের অনেক বুদ্ধিজীবী ওনাকে উপদেশ দেন। এমনকি ওনার উপর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করারও অভিযোগ তোলেন। সোমনাথের ট্যুইটের পর রাম মন্দিরের ভূমি পূজনের বিরুদ্ধে এলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলা করা কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ সমাজসেবী সাকেত গোখলে বলেন, যখন ব্রিটেনে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হচ্ছিল, তখন ভারতের উপাধ্যায় আর ব্রাহ্মণরা দলিতদের উপর অত্যাচার আর তাঁদের শিক্ষার অধিকার কাড়তে ব্যস্ত ছিল।
https://twitter.com/ashoswai/status/1285966461513674753
আরেকদিকে, আরেকজন উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ককে ট্যাগ করে লেখেন, উনি যেন এই বিহারী মুসলিম বিরোধী IAS আধিকারিককে উড়িষ্যায় না অ্যালাও করেন। এরপর সোমেশ উপাধ্যায় আরেকটি ট্যুইট করে লেখেন, লিবেরাল আর বুদ্ধিজীবীরা নিজেদের বাকস্বাধীনতার রক্ষাকর্তা বলেন, কিন্তু নিজেদের ছাড়া অন্য কারোর বাক এর স্বাধীনতা চান না।