বাংলাহান্ট ডেস্ক : শীতের আমেজ পড়তে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে। এমন সময় সকালের দিকে সবাই কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমোতে ব্যস্ত। কিন্তু সবার ভাগ্য তো সমান না! শুক্রবার শীতের সকালে নিশ্চিন্ত ঘুমের বদলে থানায় গিয়ে ছেলে ও বৌমার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে বাধ্য হলেন এক বৃদ্ধ। বেশ কিছু বছর হয়েছে স্ত্রী মারা গিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, কোনরকমে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলছিল জীবিকা নির্বাহ। ভিক্ষা করে যা টাকা রোজগার হত সবই তুলে দিতেন ছেলের হাতে। কিন্তু জীবিত থাকা অবস্থায় নিজের জমি ও বাড়ি লিখে দিতে চাননি ছেলের নামে। অভিযোগ, সেই কারণেই এই বৃদ্ধের উপর গত কয়েক মাস ধরে মানসিক ও শারীরিকভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে ছেলে ও বৌমা।
এই বৃদ্ধর নাম রমেশ সরকার। রমেশ বাবু বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার কৈজুরী গ্রামের বাসিন্দা। ৭২ বছর বয়সী রমেশ বাবু শুক্রবার সকালে হাজির হন থানায়। হাতজোড় করে থানার অফিসারদের বলেন, “বাবু বিচার চাই।” অভিযোগ, অশান্তির কারণে বৃদ্ধ বাবাকে শনিবার শীতের সকালে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে ছেলে ও বৌমা।
রমেশ সরকারের অভিযোগ, স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকেই তার ওপর শুরু হয় অত্যাচার। তার ছেলে ও বৌমা শারীরিক হেনস্থার পাশাপাশি তাকে গালিগালাজও করত। শুক্রবার সকালে তা পৌঁছায় চরমসীমায়। বৃদ্ধকে বের করে দেওয়া হয় ঘর থেকে। অভিযোগ পাওয়ার পর তৎপরতা শুরু করেছে পুলিশও। ভারতীয় সংবিধান অনুসারে বৃদ্ধ বাবা-মার উপর অত্যাচার করা আইনত অপরাধ। তাই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছে তারা।
যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করে বৃদ্ধের বৌমা জানকি সরকার জানিয়েছেন, “বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়নি। আমাদের এই বাড়িতে থাকতে দেবেনা বলে মিথ্যা অভিযোগ করছে।” পাশাপাশি বৃদ্ধর ছেলে মহাদেব সরকারও ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন।