লকডাউনের ফলে সারা ভারতে কাজ হারিয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। কেউ বা হতাশায় বাড়ি বসে থেকেছেন কেউ বা বেছে নিয়েছেন বিকল্প পেশা। হিমাচলের ২৪ বছরের মনোজ কুমার দ্বিতীয় শ্রেনীর মানুষ। তিনি জন্মান্ধ কিন্তু তা তাকে আটকাতে পারে নি।
লকডাউনের কারণে যখন তার বাবার কাজ পেতে অসুবিধা হয়েছিল, তখন সে তার বাবাকে সাহায্য করতে মোমবাতি তৈরি করা শুরু করে। লকডাউন কার্যকর হওয়ার মুহুর্তে মনোজও বাকি লোকের মতো ঘরে বসে রইল। তাঁর পরিবারের বাবা-মা ছাড়াও তাঁর বড় বোন আনু রয়েছে, তিনি জন্ম থেকেই অন্ধ।
মনোজের বাবা সুভাষের বয়স 62 বছর। করোনার আগে তিনি শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন। তিনি বলেন, কাজ হারিয়ে ঠিকাদারের কাছে গেলেও কাজ পান নি। আমি হাত পেতে সাহায্য নেই না৷ আমার সন্তানরা বলে যে তারা শুকনো রুটি খাবে তবে ভিক্ষা করবে না।
তখনই মনোজের মাথায় মোমবাতি তৈরির আইডিয়া এসেছিল। তিনি অনুভব করেছিলেন যে এই মোমবাতি বিক্রি করে তিনি কঠিন সময়ে তার পরিবারের সাহায্য করবেন। মনোজ ইতিমধ্যে মোমবাতি তৈরি করতে জানত। দিল্লি থেকে দুই বন্ধুর কাছ থেকে মনোজ ছাঁচ এনেছিল। তবে খুব সহজে সে তার ব্যাবসা শুরু করতে পারেনি। মোম সহজলভ্য নয়, পাশাপাশি এখন মোম কেউ কিনতেও চায় না। তবে শেষ পর্যন্ত অনেকের সাহায্যে মনোজ ঘুরে দঁড়িয়েছে এবং পরিবারের হাল ধরতে সক্ষম হয়েছেন।