বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিস্মৃতির অন্তরালে চলে যাওয়া আগুন যেন আবারও লেলিহান শিখা ছড়িয়ে দিতে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) রাজনীতিতে। দু’বছরের বিশ্রাম শেষে আবার রাজনীতির ময়দানে নামতে চেয়েছিলেন সোনালি গুহ (Sonali Guha)। বিগত কিছু দিন ধরে একাধিক বার সেই বার্তা দিয়েছিলেন বিজেপি (Bharatiya Janata Party) নেতৃত্বকে। দেখাও করেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) সঙ্গে।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলন মঞ্চে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখাও গিয়েছিল একদা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বস্ত সৈনিক সোনালি গুহকে। এ বার রাজ্য বিজেপি তাঁকে মহিলা মোর্চার রাজ্য কর্মসমিতির সদস্য করল। গতকাল শনিবারই সেই কমিটি গঠন হয়েছে। সংবাদমাধ্যমকে সোনালি জানান, ‘ভাল লাগছে। এ বার নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে জেনে নেব ঠিক কী ভাবে আমায় কাজ করতে হবে।’
সদ্যই বিজেপি মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী বদল হয়েছে। তনুজা চক্রবর্তীর হাত থেকে দায়িত্ব গিয়েছে ফাল্গুনী পাত্রের হাতে। এর পরে মহিলা মোর্চার বিভিন্ন সাংগঠনিক দায়িত্ব বদল হয়। শনিবার গঠিত হয় ১২১ জনের রাজ্য কর্মসমিতি। তাতেই জায়গা পেয়েছেন সোনালি। সাধারণ ভাবে গেরুয়া শিবির রাজ্য কর্মসমিতির সদস্যদের নিজেদের জেলাতেই দায়িত্ব দেয়। বিজেপির সাংগঠনিক জেলা ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দা সোনালি। সেটাও তালিকায় উল্লেখ করা রয়েছে।
এই বিষয়ে মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই উনি কাজ করতে চাইছিলেন। তাই শুরুতে ওঁকে নিজের জেলাতেই কী ভাবে কাজে লাগানো যায় সেটা আমরা দেখব।’ একই সঙ্গে ফাল্গুনী বলেন, ‘দীর্ঘ দিন বিধায়ক ছিলেন। ফলে ওঁর অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেটা কাজে লাগানোই আমাদের লক্ষ্য।’
সোনালি অবশ্য এখনই বিশেষ মুখ খুলতে চাইছেন না। সম্প্রতি তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে একের পর এক বোমা ফাটিয়েছেন। কিন্তু সদ্য তৈরি হওয়া কমিটিতে জায়গা পাওয়ার খবর জেনে বলেন, ‘আমি এখনই কিছু বলব না। কোনও প্রতিক্রিয়া নয়। দল যে ভাবে কাজ করতে বলবে, তেমন ভাবেই করব।’
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সোনালি। তবে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী করা তো দূরের কথা প্রচারেও সে ভাবে কাজে লাগায়নি বিজেপি। রবিবার সোনালি বলেন, ‘বিধানসভা নির্বাচনে আমি ডায়মন্ড হারবারের কোথাও প্রচার করিনি। গিয়েছিলাম বরাহনগর, কামারহাটিতে।’