বাংলাহান্ট ডেস্ক : সোনারপুরে (Sonarpur) শিশুকন্যা খুনে চাঞ্চল্যকর মোড়। রবিবার রাতে নিজের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় চার বছরের বাচ্চা মেয়ের রক্তাক্ত দেহ। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি তাকে। এই মর্মান্তিক ঘটনা (Sonarpur) ঘিরে সোমবার সকাল থেকে থমথমে ছিল এলাকা। মূল সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছিল ওই শিশুর দাদুকে। আর তারপরেই ঘটনায় বড়সড় মোড়। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত দাদু।
সোনারপুর (Sonarpur) শিশুকন্যা খুনে বিরাট মোড়
এই ঘটনা সোনারপুর (Sonarpur) থানার অন্তর্গত কোদালিয়ার কদমতলা এলাকার। রবিবার রাতে হঠাৎ করেই একটি বাড়ি থেকে এক শিশুকন্যার আর্তচিৎকার ভেসে আসে। চিৎকার শুনেই পাড়ার লোকজন ছুটে যান ওই বাড়িতে। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, শিশুকন্যার সারা শরীরে ক্ষত, মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রয়েছে সে, রক্তে ভেসে যাচ্ছে ঘর।
খুনের কথা স্বীকার দাদুর: পাড়ার লোকজনরাই ওই শিশুকন্যাকে সঙ্গে নিয়ে সুভাষগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে (Sonarpur) নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এই ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। কেন হঠাৎ চিৎকার করল ওই শিশু? কীভাবেই বা ক্ষতচিহ্ন এল তার শরীরে? অবশেষে এল সব উত্তর? জানা গিয়েছে, পুলিশি জেরায় দাদু (Sonarpur) স্বীকার করেছেন, নাতনিকে খুনের পেছনে তাঁরই হাত রয়েছে। পুলিশকে নাকি তিনি জানিয়েছেন, রবিবার সন্ধ্যায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে নাতনিকে খুন করেছেন তিনি। আরও জানা গিয়েছে, নাতনিকে নাকি কারোর সঙ্গে খেলতে দিতেন না তিনি, বাড়িতে একরকম বন্দি করে রাখতেন। কিন্তু এমন করার কারণ কী?
আরও পড়ুন : সোনার গয়নায় সাজবেন মা কালী, শহরের ৪৮ টি মণ্ডপে নিরাপত্তার দায়িত্বে খোদ কলকাতা পুলিশ
নেপথ্যে কী কারণ: পুলিশের অনুমান, মানসিক সমস্যা রয়েছে অভিযুক্তের। স্থানীয়রাও একই অনুমান করেন বলে জানা গিয়েছে। কোনও শিশুকেই নাকি সহ্য করতে পারতেন না তিনি। অভিযুক্ত বদমেজাজি, খিটখিটে স্বভাবের বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এমনকি ওই অভিযুক্তের (Sonarpur) প্রথম কন্যার মৃত্যু নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। স্থানীয়দের দাবি, নিজের মেয়েকেও নাকি তিনিই খুন করেছেন। যদিও এ বিষয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।
আরও পড়ুন : জ্যোতি বসুর রেকর্ড ভেঙে ২০৩৬ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতাই! তাঁর উত্তরসূরী কে? কালীপুজোয় ভবিষ্যদ্বাণী কুণালের
জানা গিয়েছে, শিশুকন্যার মা এক নামী বৈদ্যুতিন বিপণিতে কাজ করেন। বাবা এক বেসরকারি হাসপাতালের কর্মী। রবিবার কাজে গিয়েছিলেন তাঁরা। ওই বাড়িতে দাদু, দিদা আর এক পরিচারিকা ছিলেন শিশুকন্যাটির সঙ্গে। তাঁদের দুজনকেও আটক করা হয়েছে বলে খবর।