দিল্লি সংলগ্ন নয়ডা শহরে আগত যোগগুরু বাবা রামদেব, কংগ্রেসের উপর একটি বড় আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন যে, গান্ধী পরিবার অমিত শাহকে কারাগারে প্রেরণের জন্য ষড়যন্ত্র করেছিল এবং তারা চেয়েছিল যে শাহ কারাগারেই শেষ হয়ে যাক। বাবা রামদেব স্পষ্টতই সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর নাম নিয়ে বলেন যে এই দুই নেতা কখনই চান না যে অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রী মোদী বেঁচে থাকুক। তারা চেয়েছিলেন যে অমিত শাহ কারাগারে পঁচে মারা যাক এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ফাঁসি দেওয়া হোক। শুধু তাই নয়, রামদেব প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরমেরর উপর লক্ষ্য করে বলেন যে তিনি আইনমন্ত্রীও ছিলেন। তিনি কখনও স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি যে তাঁকেই উল্টে আইনি পদক্ষেপে ফেঁসে যেতে হবে। তিনি তার কার্যকালে আইন নিয়ে তীব্রভাবে খেলা করেছিলেন।
যোগ গুরু বাবা রামদেবের বক্তব্য কেন্দ্রের মোদী সরকারের প্রশংসা করে বলেন যে সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোরভাবে কাজ করেছে। এছাড়া তিনি ছাত্রদের উদ্দেশ্য করে বলেন, দেশের আইন ভঙ্গ করা এবং ঈশ্বরের আইন ভঙ্গ করা দুটোই ভুল, দেশের আইন যদি ভাঙা হয় তবে চিদাম্বরমের মতো অবস্থা হবে। রামদেব বলেছিলেন যে রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধীও আইনের প্যাচে রয়েছেন। চিদাম্বরমের পরে এবার কারাগারে যাওয়ার পালা রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধীর।
রামদেব মন্দা থেকে দ্রুত স্বস্তির জন্য আশা করেছেন। এই ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে তিনি বলেন যে কিছু কিছু খাতে মন্দা পরিবেশ রয়েছে, দেশের অর্থনীতি নতুন পর্বে চলেছে। তিনি দাবি করেন যে শিগগিরই দেশের পরিস্থিতির উন্নতি হবে এবং মন্দা থেকে মুক্তি পাবে। এছাড়া নোট ও জিএসটির মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য মোদী সরকারের প্রশংসাও করেছেন রামদেব।
রামদেব বলেন, দেশের আর্থিক উন্নয়ন করা সবার কাঁদে রয়েছে। উনি বলেন, মোদীজি কৃষিকাজ করেন না বা শিল্প করেন না। মোদীজি পলিসি তৈরি করেন। সম্প্রতি সরকার পলিসি পরিবর্তন করেছে। সরকার যে সিধান্ত নিয়েছে তা শ্রেষ্ঠতম সিধান্ত। এখন দেশ নতুন পর্বের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তাই গিয়ার আপ ডাউন হওয়া স্বাভাবিক। রামদেব একই সাথে এডুকেশন লোনের সুদ কমানোর জন্য মত প্রকাশ করেন। রামদেব বলেন, ছেলেমেয়েরা লোন নেয় পড়ার জন্য, জীবনে কিছু করার জন্য। কোনো ছাত্র লোন চুরির জন্য গ্রহণ করে না। প্রসঙ্গত জানিয়ে দি, রামদেব পতঞ্জলী সংস্থার উপর কাজ করেন। উনার প্রধান উদেশ্য, ভারতের লোকজনকে বিদেশী কোম্পানির থেকে দূরে রাখা।