বাংলাহান্ট ডেস্ক: কঙ্গনা রানাওয়াত (kangana ranawat) এর জন্যই ‘মণিকর্ণিকা’ (manikarnika) ছবি থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন সোনু সূদ (sonu sood)। তাঁর অভিনীত দৃশ্যগুলির ৮০ শতাংশই নাকি কঙ্গনা ছেঁটে ফেলেছিলেন ছবি থেকে। এমনই বোমা ফাটালেন সোনু। কঙ্গনার কেরিয়ারের অন্যতম একটি বড় মাইলস্টোন মণিকর্ণিকা। ছবিতে কঙ্গনার অভিনয় ভূয়সী প্রশংসিত হয়েছিল। তবে এই ছবিটির সঙ্গে বেশ কিছু বিতর্কও জড়িয়ে রয়েছে যা এখনও সংবাদে উঠে আসে।
মণিকর্ণিকা ছবিতে সদাশিব রাওয়ের চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল সোনু সূদের। কিন্তু তিনি ছবি থেকে পিছিয়ে আসেন। এরপর আর কখনওই কঙ্গনার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করবেন না, এমনটাই ঠিক করেন সোনু। জানা যায়, মণিকর্ণিকা ছবি থেকেই দুজনের মধ্যে এই সংঘাতের উৎপত্তি।
ছবির শুটিং শুরু হওয়ার ৪৫ দিন পরেই ছবি ছেড়ে বেরিয়ে যান সোনু। তাঁর বক্তব্য ছিল দুজন পরিচালকের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন না তিনি। অপরদিকে কঙ্গনার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তিনি নাকি ছবিতে সোনুর স্ক্রিন স্পেসের ওপর কাঁচি চালান।
আসলে প্রথমে মণিকর্ণিকা ছবির পরিচালক ছিলেন কৃষ জগড়লামুড়ি। কঙ্গনার সঙ্গে বাদানুবাদের জেরে তিনি ছবি ছেড়ে বেরিয়ে যান। এরপর কঙ্গনাই পরিচালকের আসন দখল করেন। তখনই সোনু বলেন, দুজন পরিচালকের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন না তিনি। পাল্টা অভিনেত্রী তোপ দাগেন, একজন মহিলা পরিচালকের অধীনে কাজ করতে সম্মানে লাগছে সোনুর।
উত্তরে অভিনেতা বলেন, এর আগে তাঁর অভিনীত হ্যাপি নিউ ইয়ার ছবিতে পরিচালক ছিলেন ফারাহ খান। তিনি আরও বলেন, একজন পুরুষকে এভাবে অভিযুক্ত করা খুব সহজ। এরপরেও দমেননি কঙ্গনা। তিনি উল্টে বলেন, সোনুর এই ছবিতে কন্ট্র্যাক্টের সময় শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই তাঁর এই বিষয়ে কথা বলার কোনও অধিকার নেই।
এমতাবস্থায় মুখ খোলেন পরিচালক কৃষ। কঙ্গনাকে একহাত নিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, অভিনেত্রীই জোর করে ছবিতে সোনুর স্ক্রিন স্পেস কমিয়ে দেন। কঙ্গনা তাঁকে জোর করেন ইন্টারভ্যালের আগেই সোনুর চরিত্রটিকে মেরে ফেলতে। তাতে তিনি রাজি না হওয়ায় কঙ্গনা নিজেই তা করেন বলে অভিযোগ করেন কৃষ।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সেটে কঙ্গনা খুবই দুর্ব্যবহার করেন। এমনকি ছবিতে তাঁর থেকে অন্য কেউ বেশি গুরুত্ব পাক সেটা তাঁর পছন্দ নয়। তাই অন্যদের স্ক্রিন স্পেসও কমিয়ে দিতে বলেন পরিচালককে। সোনুর মতো কৃষও ভবিষ্যতে কখনও কঙ্গনার সঙ্গে কাজ না করার সঙ্কল্প করেন।
সোনু আরও জানান, যখন তিনি ছবি দেখেন তখন বুঝতে পারেন তাঁর দৃশ্যগুলির ৮০ শতাংশই আর নেই। কঙ্গনাকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জাআন, অন্য ভাবে শুটিং করতে চান তিনি। এরপরেই ছবি থেকে বেরিয়ে যান সোনু সূদ।