বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচন আসন্ন। তার পূর্বে জনসমক্ষে দলের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে তৎপর তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। বিশেষত, একের পর এক দুর্নীতি ইস্যুতে যেভাবে কোণঠাসা হয়ে চলেছে দল, সেই সকল ইস্যুকে দূরে সরিয়ে নিজেদের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে তৎপর শাসক দল। এই পরিস্থিতিতে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy)। দমদমের সাংসদের দাবি, “অনেকেই রয়েছে, যাদের দল থেকে সরে যাওয়া সময় এসেছে।” অপরদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হতে পারে, সে বিষয়ে এদিন মতপ্রকাশ করলেন মদন মিত্র (Madan Mitra)।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক দুর্নীতি ইস্যুকে কেন্দ্র করে তোলপাড়ে বঙ্গ রাজনীতি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য, অশোক সাহা থেকে শুরু করে একের এক তৃণমূল নেতা মন্ত্রী এবং শিক্ষা আধিকারিকরা হেফাজতে। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পূর্বে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে সংগঠনের পাশাপাশি জনসংযোগ বাড়াতে উঠেপড়ে বসেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এর মাঝেই এদিন কামারহাটিতে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন সৌগত রায় এবং মদন মিত্র। অনুষ্ঠান থেকে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “সময়ে এসে গিয়েছে; যারা আর্থিক সুবিধার জন্য দলে রয়েছেন, তাদের সরে যাওয়ার সময় এসেছে। কারণ, আমাদের ৯৫ শতাংশ কর্মী সৎভাবে কাজ করে চলেছেন। তাই কয়েকজন মানুষ যারা ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য রয়েছে, তাদের জন্য দলের ভাবমূর্তি খারাপ হোক, সেটা চাই না।”
অপরদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচন ইস্যুতে মদন মিত্র বলেন, “আমরা যদি সবাই একসঙ্গে থাকতে পারি, তাহলে আবার একঝাঁক হয়ে ফিরব। একটাই অনুরোধ করব, মেরে পঞ্চায়েত নেব, এরকম চিন্তা ভাবনা থেকে সরে আসবেন। মেরে পঞ্চায়েত নিতে চাই না। হৃদয়ে লেখ নাম, সে নাম রয়ে যাবে।”
পরবর্তীতে তিনি আরো বলেন, “প্রত্যেকটি মানুষের ভুল হতেই পারে। আমাদের নেতাদের উচিত, মানুষের কাছে গিয়ে কোথায় ভুল, সেটা জিজ্ঞাসা করা। এর জন্য যদি কাউকে কোন নেতার কোপের মুখে পড়তে হয়, তাহলে আমি তাদের পাশে থাকব।”
যদিও মদন মিত্রের এহেন বক্তব্যকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “উনি কালারফুল ম্যান। তাই মদন মিত্র কিভাবে এরকম নিদান দিতে পারেন, তা আমার জানা নেই। দল আগে ওর পাশে রয়েছে কিনা, তা আগে দেখা উচিত। তাছাড়া ওর কথার যে সব সময় উত্তর দিতে হবে, সেটাও মনে করি না।”