বাংলাহান্ট ডেস্ক: সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের (soumitra chatterjee) মৃত্যুর পর কেটেছে মাত্র সাড়ে চার মাস। গত বছরের নভেম্বরে প্রয়াত হন এই প্রবাদপ্রতিম অভিনেতা। তাঁর মৃত্যুর পর পাঁচ মাসও কাটতে পারেনি, ফের এক দুঃসংবাদ অভিনেতার পরিবারে। প্রয়াত হলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী দীপা চট্টোপাধ্যায় (deepa chatterjee)। রবিবার ভোররাতে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
মায়ের প্রয়াণের খবর প্রকাশ্যে আনেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কন্যা পৌলমী বসু। রবিবার ভোররাতের দিকে সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। অসুস্থতার জন্য হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। চিকিৎসা চলছিল তাঁর।
দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন দীপা দেবী। কিডনির সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। কিডনি বিকল হয়েই মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। কন্যা পৌলমী বলেন, “বাবার মৃত্যুর পর থেকেই মায়ের বেঁচে থাকার ইচ্ছা চলে যায়। সমানে আমাদের বলত, এবার আমায় যেতে দে।”
দীর্ঘ ছয় দশকের বিবাহিত জীবন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও দীপা চট্টোপাধ্যায়ের। ১৯৬০ সালের ১৮ এপ্রিল সাত পাকে বাঁধা পড়েন দুজন। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অন্যতম অবলম্বন ছিলেন তাঁর স্ত্রী। এমনকি তাঁর সাফল্যের অনেকটা কৃতিত্বই দিতে হয় দীপা দেবীকে। তবে মাত্র কয়েকটি ছবিতেই অভিনয় করেছিলেন তিনি। বিলম্বিত লয়, দূর্গা, গাছ তাদের মধ্যে অন্যতম।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ নভেম্বর সকালে বেলভিউ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। আগের দিন রাতেই অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হয়ে যায় তাঁর। পরিস্থিতি চিকিৎসকদের হাতের প্রায় বাইরে বেরিয়ে যায়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
বেশ কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল অবস্থা সঙ্কটজনক সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। করোনা মুক্ত হয়ে বাড়ি চলে যাওয়ার পর নতুন করে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ফের ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। তারপর থেকেই কখনো ভাল কখনো খারাপ খবর শোনা যাচ্ছিল।