‘তৃণমূলীদের টাকা দিলেই মিলছে টিকার কুপন!” ভ্যাকসিন দুর্নীতিতে রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন সৌমিত্র খাঁ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূলের ভ্যাকসিন দুর্নীতি অনেকদিন ধরেই অভিযোগ তুলে আসছে বিজেপি। ময়নার বিধায়ক অশোক দিন্দা থেকে শুরু করে একাধিক নেতাই বারবার অভিযোগ করেছেন তৃণমূল আসলে ভ্যাকসিন নিয়ে দুর্নীতি চক্র চালাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী গোটা দেশের জন্য ফ্রি-তে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু আদতে ভ্যাকসিন বিনামূল্যে পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। তাদের পড়তে হচ্ছে দালাল চক্রের মুখে এমনটাই দাবি ছিল বিজেপির। এবার সেই সূত্র ধরেই বর্ধমানের একটি ঘটনা নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে শেয়ার করলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তার শেয়ার করা সংবাদপত্রের অংশটিতে দেখা যাচ্ছে বর্ধমান ভ্যাকসিন দুর্নীতি নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে একটি প্রতিবেদন।

এই প্রতিবেদন অনুযায়ী রাত দুটো থেকে লাইন দেওয়ার পরেও ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। অথচ দালাল চক্রের হাত ধরে সেই কুপন বিক্রি হচ্ছে আটশো থেকে হাজার টাকায়। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্ধমান শহরে দক্ষিণায়ন বিয়ে বাড়ি, রথ তলা, লোকো, সংস্কৃতি লোকমঞ্চ প্রভৃতি একাধিক জায়গায় ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন ৫০ টি করে কুপন দেওয়ার কথা। কিন্তু কুপন হাতে পাওয়ার আগেই তা পৌঁছে যাচ্ছে বর্ধমান শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতাদের কাছে। প্রতিবেদনে উল্লেখিত হয়েছে, শুধু যে কুপন দলের রং দেখে দেওয়া হচ্ছে তাই নয়, তার একটি বড় অংশ বিক্রি করছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। যার জেরে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়েও ভ্যাকসিন পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ।

বর্ধমান শহরে সংস্কৃতি লোকমঞ্চে হকারদের জন্য ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেখা গিয়েছে সেখানে ৩০ শতাংশ টিকা গ্রহণকারীও হকার নয়। অর্থাৎ হকারদের নামে আসা ভ্যাকসিন পাচ্ছেন আসলে অন্য কেউ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত দিন বাংলা হান্টের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ময়নাতেও একই ঘটনা ঘটছে বলে উল্লেখ করেছিলেন অশোক দিন্দা। আজ প্রতিবেদনের ছবি শেয়ার করে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে বিষ্ণুপুরের সংসদ লেখেন, “বাংলার লজ্জা তৃনমূল, মোদী জি গোটা দেশের মানুষকে ফ্রিতে ভ্যাকসিন দিয়েছে!”

যদিও এই ঘটনার সত্যতা এখনও যাচাই করে দেখিনি বাংলা হান্ট। তবে একথা সত্যি যে বারবারই তৃণমূলের বিরুদ্ধে এ ধরনের ভ্যাকসিন দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। করোনা থেকে বাঁচতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভ্যাকসিন। গবেষকরা এর আগেও বলেছেন, দু’দফা ভ্যাকসিন গ্রহণ করলে ভাই ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রেই কমতে পারে ভাইরাসের মারণ প্রভাব। সেখানে টিকা নিয়ে এধরনের দুর্নীতি কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও বারবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের সরব হয়েছেন সৌমিত্র খাঁ। এমনকি কয়েকদিন আগে বাংলার অপশাসন রুখতে পৃথক রাঢ়বঙ্গের কথাও বলেছিলেন তিনি। এবার তৃণমূলের ভ্যাকসিন দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে ফের একবার খবরের শিরোনামে উঠে এলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ।


Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর