বাংলাহান্ট ডেস্ক: অভিনেতা অভিনেত্রীদের রিল আর রিয়েল জীবন নাকি এক্কেবারে আলাদা। ক্যামেরার সামনে দুরন্ত প্রেমের দৃশ্য করেও ক্যামেরা অফ হলেই একে অপরের থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিতে পারেন তারা। সৌমিতৃষা কুণ্ডু (Soumitrisha Kundu) ও আদৃত রায়ের (Adrit Roy) মধ্যেও পরিস্থিতিটা নাকি এখন এমনি।
তালটা কেটেছিল যেদিন সর্বসমক্ষে ‘দিদিয়া’ কৌশাম্বী চক্রবর্তীকে নিজের বেস্ট ফ্রেন্ড বলে দাবি করে নিন্দুকদের একহাত নেন আদৃত। পালটা সৌমিতৃষার প্রিয় বন্ধু সায়ক উচ্ছেবাবুকে ঠুকে পোস্ট করেছিলেন। আদৃত সৌমিতৃষার মধ্যে ঠাণ্ডা দূরত্বটা নজর এড়ায়নি অনেকেরই।
সম্প্রতি আদৃতের জন্মদিনে আরো খানিকটা স্পষ্ট ফাটলটা। এদিন কৌশাম্বী, তন্বী, উদয় সহ মিঠাই সিরিয়ালের প্রায় সব সহ অভিনেতা অভিনেত্রীরা শুভেচ্ছা জানালেও অদ্ভূত ভাবে সৌমিতৃষার তরফ থেকে নেটমাধ্যমে আসেনি কোনো শুভেচ্ছা। এর আগে শ্রীতমা ওরফে দিয়া মুখোপাধ্যায়, নীপা ওরফে ঐন্দ্রিলা সাহার জন্মদিনেও মিষ্টি বার্তা দিয়েছিলেন মিঠাই রানী।
কিন্তু উচ্ছেবাবুর জন্মদিনে অদ্ভূত ভাবে তাঁর এই নিস্তব্ধতা বেশ অদ্ভূতই ঠেকল নেটিজেনদের কাছে। অবশ্য সামনাসামনি ব্যক্তিগত ভাবে তিনি আদৃতকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কিনা তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে টেলিপাড়ার অভ্যন্তরের খবর, আদৃত সৌমিতৃষার নাকি কথা বলা এমনকি মুখ দেখাদেখিও বন্ধ। শুধুমাত্র শটের সময়টুকু বাদে। তখন অবশ্য সেই আগের চেনা সিড মিঠাইয়ের রসায়নে কোনো ফাঁক নেই।
গুঞ্জন বলছে, কৌশাম্বীর সঙ্গে বন্ধুত্বের ঘোষনার পর থেকেই আদৃত সৌমিতৃষার মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে। এদিন উচ্ছেবাবুকে নেটমাধ্যমে শুভেচ্ছা না জানালেও কয়েকটি মন ভাঙার ভিডিও শেয়ার করেছিলেন সৌমিতৃষা। এমনকি সবাইকে নিয়ে আদৃতের কেক কাটার সময়েও বেজার মুখ নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী।
সবাইকে কেক খাওয়ালেও প্রথমে মিঠাইকে স্রেফ উপেক্ষা করে যান আদৃত। পরে ঠাম্মির কথায় খাওয়ান একটি চকোলেটের টুকরো। পালটা আদৃতকে কেক খাওয়াননি সৌমিতৃষা। আগেকার সেই খুনসুটির বদলে দুজনের এই দূরত্ব মেনে নিতে পারছেন না ভক্তরা।
অনেকেই প্রার্থনা করছেন আদৃত সৌমিতৃষার বন্ধুত্বটা যেন আগের মতো হয়ে যায়। আবার অনেকের মতে, দুই বন্ধুর মধ্যে মান অভিমান তো হতেই পারে। দুজনে দুজনকে গুরুত্ব দেন বলেই অভিমান হয়েছে তাঁদের মধ্যে।