বাংলাহান্ট ডেস্ক: মিঠাই, মিষ্টি মেয়েটির মিষ্টি কাহিনি মন জয় করে নিয়েছে গোটা বাংলার। বুঝতেই পারছেন, জি বাংলার নতুন ধারাবাহিক ‘মিঠাই’এর (mithai) কথাই বলা হচ্ছে। মাত্র কয়েক মাস আগে শুরু হয়েই জনপ্রিয়তার তুঙ্গে উঠেছে এই ধারাবাহিক। এমনকি লকডাউনের মধ্যে শুটিংয়ের হাজারো সমস্যা নিয়েও টিআরপির দৌড়ে মিঠাই অপ্রতিরোধ্য।
জনাইয়ের ময়রা বাড়ির মিষ্টি মেয়ে মিঠাই। ভাগ্যক্রমে বিয়েও হয়েছে তাঁর কলকাতার মিষ্টি বাড়ি মনোহরাতে। বিয়ের আগে থেকেই মিঠাইয়ের ব্যবসার সঙ্গী তাঁর প্রিয় সাইকেল (cycle) ‘মুন্নি’। মুন্নিতে চেপেই কলকাতার রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে মিষ্টি বিক্রি করতে আসত মিঠাই। সাইকেল চালানোয় সে এক্সপার্ট যাকে বলে।
এদিকে বাস্তবের মিঠাই অর্থাৎ সৌমিতৃষা কুণ্ডু (soumitrisha kundu) কিন্তু জানতেনই না সাইকেল চালানো। কিন্তু চরিত্রের প্রয়োজনে তাঁকে তো শিখতেই হবে। তাই শুরু হল কসরৎ। অনেক চেষ্টাচরিত্র করে তবে সফল হন সৌমিতৃষা। এই কাজে লাগিয়ে অবশ্য তিনি সঙ্গে পেয়েছিলেন নিজের বন্ধুদের। সেই সময়কার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়।
ভিডিওতে সৌমিতৃষাকে সাইকেল চালাতে দেখা যাচ্ছে। বলা ভাল চেষ্টা করছেন তিনি। চালাতে চালাতে টাল সামলাতে না পেরে আরেকটু হলেই পড়ে যেতেন সৌমিতৃষা। কিন্তু পেছন থেকে সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে ধরে নেন অভিনেতা নীলৎপল ব্যানার্জী। বড় সাইকেলে জুৎ করতে না পেরে শেষে বাচ্চাদের ট্রাইসাইকেলেই চেপে বসেন সৌমিতৃষা। এতে বেশ ভাল চালাতে পারলেও সবসময়ই সৌমিতৃষার পেছনে পেছনেই ছিলেন নীলোৎপল।
https://www.instagram.com/p/CPqOUnlBQwe/?utm_medium=copy_link
জানিয়ে রাখি, সৌমিতৃষা ও নীলোৎপল কিন্তু খুবই ভাল বন্ধু। প্রায়ই একসঙ্গে সময় কাটাতে আনন্দ করতে দেখা যায় দুজনকে। ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে মিঠাইয়ের ফ্যানপেজে। এর আগে একক সাক্ষাৎকারে সিদ্ধার্থ ওরফে আদৃত রায়ও জানিয়েছিলেন মিঠাইয়ের সাইকেল শেখার কথা। তারপর শুটের সময়ও বেশ ভালই চালিয়েছিলেন সৌমিতৃষা।