বাংলাহান্ট ডেস্ক : গতকালই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের নৈশভোজকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল রাজ্য রাজনীতি। সাধারণত রাজনৈতিক রঙ সরসরি গায়ে না লাগালেও গতকালের পর থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিজেপি ঘনিষ্ঠতা নিএ জোর জল্পনা সর্বত্র। সেই বিতর্কিত নৈশভোজের পর কাটেনি ২৪ টি ঘন্টাও। এরই মধ্যে এবার গতকালের সম্পুর্ণ বিপরীত এক ফ্রেমে ধরা দিলেন সস্ত্রীক সৌরভ। এবার এক মঞ্চেই পাশাপাশি তাঁকে দেখা গেল রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে। ফলে স্বভাবতই আজকের এই ছবিটি নিয়েও তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা।
এদিন কলকাতার বিশিষ্ট কার্ডিওলজিস্ট সরোজ মন্ডলের একটি বেসরকারি হাসপাতালেত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়। এই একই অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিত ছিলেন ফিরহাদ হাকিমও। সেখানেই ডোনা এবং সৌরভের মাঝে হাসিমুখেই দেখা মেলে ফিরহাদের। পরষ্পর সৌজন্য বিনিময়ও করেন তাঁরা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণভাবে ফিরহাদ হাকিমকে নিয়ে বক্তব্যও রাখেন সৌরভ। তিনি বলেন, ‘ফিরহাদ হাকিমের নামের আগে জনাব শব্দটা ব্যবহার করতে আমার কেমন লাগে। আসলে উনি আমাকে ক্লাস ওয়ান থেকে দেখেছেন। আমরা তখন অনেক ছোটো হলেও বাবার সঙ্গে ফিরহাদ হাকিমের বহুদিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। আমার বাড়ির সঙ্গেও ওঁর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।’
যদিও পরপর দুদিন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের এহেন দুই পরস্পর বিরোধী ছবিতে কার্যতই শোরগোল পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। যদিও জানা যাচ্ছে, গতকালের অমিত শাহের নৈশভোজের পরিকল্পনাটি তাৎক্ষণিক হলেও এই অনুষ্ঠানটিতে দীর্ঘদিন ধরেই নিমন্ত্রিত ছিলেন তাঁরা। ফলে দুটি বিষয়কে সেভাবে পরষ্পর সম্পর্কযুক্ত বলে ভাবতে এখনই রাজি নন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ।
উল্লেখ্য, আজই সকালে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে ফেসবুকে একটি বিতর্কিত পোস্ট করেন তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারি। সেই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘সৌরভকে নিয়ে আমার কোনও দিন তেমন কোনও উন্মাদনা কোনও কালে ছিল না। আলালের ঘরের দুলাল। ব্যাট দিয়ে ভাল বল ঠুকতে পারে। সে নিয়ে আর যাই হোক দেশ, জাতি, মানুষের কোনও হিত-মঙ্গল হয় না। মাত্র সে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নিতে পারে। তাই সৌরভকে নিয়ে আমার কোনও আবেগ ছিল না। কিন্তু আজকের যখন সে এক চরম বাঙালী বিদ্বেষী বাংলা ভাষা সাহিত্য সংস্কৃতি বিরোধী- বাংলা ভাগের চক্রান্তকারী ব্যাক্তিকে আদর আপ্যায়ন করে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ভুরিভোজ করায় – সৌরভকে নয়, যারা তাকে বাঙালির আইকন বলে ধেই ধেই নাঁচে তাদের দেখে করুনা হয়।’ এর প্রেক্ষিতে কোনও প্রতিক্রিয়াই অবশ্য পাওয়া যায়নি প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের কাছ থেকে।