বাংলাহান্ট ডেস্ক : জি বাংলায় সম্প্রচারিত দাদাগিরি অনুষ্ঠানটি ৮ থেকে ৮০ সবার কাছেই খুব প্রিয়। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঞ্চালনায় এই অনুষ্ঠানটি গত কয়েক বছরে দর্শকদের মনের মনিকোঠায় জায়গা করে রয়েছে। এটি মূলত একটি ক্যুইজ অনুষ্ঠান হলেও, এই অনুষ্ঠানে জানা যায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জীবনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে।
দাদার কেরিয়ারের গল্প, পরিবারের গল্প, ভূতে ভয় পাওয়ার গল্প আমরা শুনতে পাই এই অনুষ্ঠানে। আর সৌরভের জীবনের গল্প মানেই তাঁর কন্যা সানা। সৌরভের বিভিন্ন কথায় উঠে আসে সানার নাম। সম্প্রতি একটি এপিসোডে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ভাগ করে নিয়েছেন সানার জীবনের একটি মজার গল্প।
আরোও পড়ুন : ৫০০০ টাকা দেবে রাজ্য সরকার, তাও বছরে দু’বার! দেখুন, পশ্চিমবঙ্গে কারা এই স্কিমে উপকৃত হবেন
সময়টা ২০০৭ সাল। সেই সময় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে লন্ডনে গিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে। তখনো সেখানে নিজের বাড়ি কেনেননি সৌরভ। স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে উঠেছিলেন হোটেলে। সেই সময়ে সৌরভ একদিন ব্যস্ত ছিলেন খেলায়। ডোনা সানাকে নিয়ে বেরিয়েছিলেন ঘুরতে। হঠাৎই লন্ডনের রাস্তায় হারিয়ে যায় ছোট্ট সানা।
আরোও পড়ুন : চলতি বছরে চলেছে একের পর এক স্পেশাল! যাত্রীদের চাহিদা মেটানোতে রেকর্ড পূর্ব রেলের
সৌরভ বলেন, ‘‘ওর মা আর ও বেরিয়েছে। এদিক-ওদিক চলে গিয়েছে। ওর মা আর ওকে খুঁজে পাচ্ছে না। এদিকে সানা পুলিশকে গিয়ে বলেছে, আমার মা হারিয়ে গিয়েছে। এমন বুদ্ধি মেয়ের যে এটা বলেনি আমি হারিয়ে গিয়েছি। তারপর বিকালে আমি টেস্ট ম্যাচ খেলে এসেছি হোটেল রুমে সাড়ে ছ’টা-সাতটা নাগাদ। হঠাৎ আমার রুমে টোকা।
পাশাপাশি তিনি আরোও বলেন, “দেখি পুলিশ, তার পাশে সানা! ভাবছি, ও আবার কী করল! পুলিশ জানাল, মেয়ে বলছে মাকে খুঁজে পাচ্ছে না। মা হারিয়ে গিয়েছে। সানা নিজেই পুলিশকে বলেছে ও কোথায় থাকে। পুলিশ ওকে পৌঁছে দিয়েছে। আর ওর মা ওদিকে মেয়েকে খুঁজেই চলেছে। আমাকে ফোন করে বলছে, শিগগির নীচে নেমে এসো। মেয়েকে কোথাও পাচ্ছি না।’’
এরপর অনুষ্ঠান চলাকালীন সৌরভ আরো বলেন, ফোনে তিনি ডোনাকে আশ্বস্ত করেন যে সানা তাঁর সাথেই রয়েছে। পাশে বসে খেলা করছে। এরপর সৌরভের বক্তব্য, ‘‘আর সেই মেয়ে এখন সেই লন্ডনেই থাকে। একা থাকে। বাবা-মা কাউকে দরকার পড়ে না ওর।’’