বাড়ি থেকে শুটিং নিয়ে বিবাদ টেলিপাড়ায়, মুখ খুললেন ‘গদাই’ সৌরভ

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক: গত ১৬ জুন থেকে কার্যত লকডাউনে প্রায় ঘরবন্দি গোটা বাংলার মানুষ। গত বারের মতো এবারেও নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে টেলিপাড়ার শুটিংয়ে। বাধ‍্য হয়ে সিরিয়ালের (serial) গল্প চালু রাখতে বাড়ি থেকে শুটিং শুরু করেছেন শিল্পীরা। কিন্তু এই ‘শুট ফ্রম হোম’ এর বিষয়টা নিয়ে দ্বন্দ্বে আর্টিস্ট ফোরাম ও ফেডারেশন। একপক্ষ শুটিংয়ের পক্ষে তো অন‍্যরা বিপক্ষে। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন ‘গদাধর’ ওরফে অভিনেতা সৌরভ সাহা (sourav saha)।

জি বাংলার ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’ সিরিয়ালে শ্রীরামকৃষ্ণের চরিত্রে অভিনয় করছেন সৌরভ। তাঁর যে চরিত্র ও যে সিরিয়ালে তিনি অভিনয় করেন তাতে বাড়ি থেকে শুটের জো নেই। তাই অন‍্যান‍্য সিরিয়ালের সহশিল্পীদের জন‍্যই আনন্দবাজার পত্রিকার হয়ে কলম ধরলেন অভিনেতা।

শিল্পীদের শুট ফ্রম হোমের বিষয়টি নিয়ে বিবাদে জড়িয়েছে আর্টিস্ট ফোরাম ও ফেডারেশন। ফেডারেশন প্রথম থেকেই বাড়ি থেকে শুটিংয়ের বিপক্ষে। কারণ হিসাবে তাদের দাবি, এতে অভিনেতা অভিনেত্রীদের কাজ সচল থাকলেও মেকআপ আর্টিস্ট, ক‍্যামেরাম‍্যান সহ সেটের অন‍্যান‍্য টেকনিশিয়ানরা বেতন পাবেন না। অপরদিকে অপরদিকে ফোরামের প্রশ্ন, যদি লকডাউনে ওয়ার্ক ফ্রম হোম হতে পারে তবে শুট ফ্রম হোম কেন নয়?


কোনো পক্ষের বিরুদ্ধে না গিয়েই সৌরভের বক্তব‍্য, এই কঠিন সময়ে বিবাদ না করে সকলের উচিত ঐক‍্যবদ্ধ হয়ে বিকল্প উপায় খুঁজে বের করা। কেউ কাজ করতে পারছে না ভেবে বাকিরাও হাত গুটিয়ে বসে থাকলে শিল্পটাই নষ্ট হয়ে যাবে। তখন ফেডারেশন সকলের হাতে টাকা তুলে দিতে পারবে তো? প্রশ্ন সৌরভের।

অভিনেতা বলেন, কয়েকজন কাজ করতে পারছে না বলে সবার কাজ বন্ধ করে দেওয়াটা কিছুটা প্রতিহিংসাপরায়ণের মতো কাজ। তার থেকে যারা কাজ করতে পারছেন তারা শিল্পটা বাঁচিয়ে রাখলে যে টাকা উঠে আসবে তাতে সকলেই উপকৃত হবে বলে মত সৌরভের।


তিনি আরো বলেন, তাঁর ছেলে ছোট তাই তিনি বাড়ি থেকে বেরোতে পারবেন না। আর নিষেধ অমান‍্য করে বাইরে বেরিয়ে দল বেঁধে কাজ হোক সেটাও তিনি চান না। প্রধানমন্ত্রী ও মুখ‍্যমন্ত্রী সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার মধ‍্যেও যাতে রোজগারের পথ বন্ধ না হয় সেই দিকেও লক্ষ‍্য রাখছেন। এমতাবস্থায় যদি একটি বিকল্প পথে কাজ চালু রাখা যায় তবে সেই পথেই হাঁটা ভাল বলে মনে করেন সৌরভ। এই কঠিন সময়ে মানুষের বিনোদনের চাহিদা মেটানোর দায়িত্বটা তাঁদেরই, বক্তব‍্য অভিনেতার।

X