বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি, ডায়মন্ড হারবারে পুলিশ সুপারের কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে পুলিশের প্রশংসা করার পাশাপাশি তিনি তাদেরকে যে কোন ঘটনায় তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেন আর অভিষেকের এই নির্দেশের পরেই তৎপর দেখা গেল গোটা এলাকার পুলিশ প্রশাসনকে। এদিন এক মাছ ব্যবসায়ীকে পাওনা টাকা না দেওয়া এবং টাকা চাইতে আসলে উল্টে তাকে মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান সনাতন প্রামাণিককে।
এলাকার মারধর, হুমকি ছাড়াও একাধিক অভিযোগ উঠতে থাকে এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। বর্তমানে জানা গিয়েছে, এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে জিনিস কেনার পরেও তাকে টাকা দিতে চাইছিলেন না তৃণমূল নেতা। এরপর সেই টাকা চাইলে উল্টে ব্যবসায়ীকে মারধর করেন সনাতন প্রামাণিক আর সেই ঘটনার দরুন শেষ পর্যন্ত জেল হেফাজতে ঠাঁই হলো এই তৃণমূল নেতার।
দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার ফলতা ব্লকের দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সনাতন প্রামাণিক। বেশ কয়েক দিন আগে তিনি এক ব্যবসায়ীর থেকে মাছ ক্রয় করেন। এরপর বহু দিন পেরিয়ে গেলেও টাকা দেওয়ার কোন গা করেনি তৃণমূল নেতা। ঠিক এর পরেই অসঙ্গতিপূর্ণ পরিস্থিতি দেখে সনাতন বাবুর নিকট টাকা চেয়ে বসেন ওই ব্যবসায়ী। এরপরেই টাকা দেওয়ার নাম করে প্রথমে সেই ব্যবসায়ীকে ডাকেন সনাতনবাবু এবং পরে তাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর ওই ব্যবসায়ী স্থানীয় থানায় গিয়ে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন এবং দ্রুত তদন্তে নেমে এদিন সনাতন প্রামাণিককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মাছ ব্যবসায়ীটির কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ামাত্র কোনরকম দেরি না করে সনাতন বাবুর বাড়িতে পৌঁছে যায় তারা এবং সেখানে তাঁকে না পাওয়া গেলে পরে তল্লাশি চালিয়ে বাজার থেকে উদ্ধার করা হয় অভিযুক্তকে। এদিন তাকে আদালতে পেশ করা হবে।
আরও পড়ুনঃ ২ লক্ষ টাকা তোলা দিতে অস্বীকার, সস্ত্রীক ইঞ্জিনিয়ারকে বেধড়ক মারধর তৃণমূল প্রধানের
তৃণমূল নেতা সনাতন প্রামাণিকের বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ এই প্রথম নয়। জাহাঙ্গীর খানের ঘনিষ্ঠ এই নেতা এর পূর্বেও এক ইঞ্জিনিয়ার ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা না পেয়ে তাকে মারধর করে বলে অভিযোগ। এমনকি ইঞ্জিনিয়ার ব্যক্তির স্ত্রীও ছাড় পাননি! তাকেও মারধর করা হয় এবং এই ঘটনায় মহিলার ঘাড়ের হাড় পর্যন্ত ভেঙে যায়। সেই ঘটনায় পুলিশের দ্বারা কোনো রকম অভিযোগ পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। তবে বর্তমানে পুলিশের এই তৎপরতার পিছনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ রয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।