বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আগামী ১৩ ই সেপ্টেম্বর বিজেপির (Bharatiya Janata Party) নবান্ন অভিযান। তৃণমূল সরকারের অপশাসন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিজেপির এই কর্মসূচি ইতিমধ্যেই খবরের শিরোনামে চলে এসেছে। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে তৎপর রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব আর এর মাঝেই এবার প্রকাশ্যে এলো পদ্মফুল শিবিরের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার দুই বিজেপি গোষ্ঠীর মধ্যে কোন্দলের ঘটনায় ইতিমধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
ঘটনাটি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলা অন্তর্গত রামকৃষ্ণপুর এলাকার। গতকাল বিজেপির নবান্ন অভিযানের আগে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে একটি দলীয় বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সূত্রের খবর, আচমকাই বৈঠকে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুই গোষ্ঠীর কর্মীরা। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, পরবর্তীতে তা নিয়ন্ত্রণ করতে উপস্থিত হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
উল্লেখ্য, গতকাল বিজেপির বৈঠকে দুই পক্ষের কর্মীরা একে অপরের দিকে চেয়ার ছোড়ার পাশাপাশি মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়ে বলে জানা যাচ্ছে। পরবর্তীতে কুলপি থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করেছে বলে খবর। যদিও এই ঘটনায় বিজেপির তরফ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে।
গতকালের ঘটনা প্রসঙ্গে মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি প্রদ্যুৎ বৈদ্য বলেন, “গতকাল সময় মতোই বৈঠক চালু হয়। তবে সেই সময় আচমকাই দেখা যায়, কয়েকজন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী আমাদের পার্টি অফিসে উপস্থিত হয়েছে। তাদের কাছে রিভলবার পর্যন্ত ছিল। তাদেরকে বৈঠককে আসা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে উল্টো দিকে কিছু মানুষ বিভিন্ন প্রশ্ন তুলে শোরগোল শুরু করে এবং কৃত্তিবাস সরদার তাঁর দলবল নিয়ে বৈঠকে ঝামেলা শুরু করে।”
সূত্রের খবর, গতকাল বিজেপির বৈঠকে প্রধানত প্রদ্যুৎবাবুর বিরুদ্ধেই টাকা তছরূপের অভিযোগ সামনে আনে অন্য গোষ্ঠীর একদল কর্মী। পরবর্তীতে তা নিয়েই শুরু হয় ঝামেলা এবং এরপর তা হাতাহাতির রূপ ধারণ করে। তবে বর্তমানে বিজেপির তরফ থেকে তাদের নবান্ন অভিযান এবং সেই সংক্রান্ত বৈঠক বানচাল করার জন্য এটিকে তৃণমূল কংগ্রেসের ষড়যন্ত্র বলেই দাবি করা হয়েছে।