বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ আজ দক্ষিণ আফ্রিকা টসে জিতে ব্যাটিং নেওয়ার পর প্রথমে বাংলাদেশের বোলারদের সামনে তাদের খুব একটা ভালো ছন্দে দেখায়নি। ডি কক একপ্রান্তে অসাধারণ হলেও বাংলাদেশের বোলিং বেশ কিছুটা চাপে রেখেছিল প্রোটিয়া শিবিরকে। কিন্তু শেষ দশ ওভারে ঝড় তোলেন ক্লাসেন, ডেভিড মিলাররা। বাংলাদেশের সামনে ৩৮৩ রানের লক্ষ্য রাখে তারা জয়ের জন্য। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদুল্লাহর শতরান সত্ত্বেও নিজেদের সম্মানরক্ষায় ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ।
ডি কক সেট হয়ে যাওয়ার পর এদিন বিধ্বংসী ব্যাটিং করেছিলেন। ১৪০ বলে ১৫ টি চার এবং ৭ টি ছক্কা সহ ১৭৪ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস খেলেন তিনি। চলতি বিশ্বকাপে এটি তার তৃতীয় শতরান এবং আপাতত বিরাট কোহলিকে পেছনে ফেলে দিয়েছেন তিনি সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের দৌড়ে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বাকি টপ অর্ডারে এদিন ব্যর্থ হয়েছিল।
ডি ককের সাথে এসে পরিস্থিতি সামলান মার্করাম। ৬৯ বলে ৬০ রানের একটি বুদ্ধিদীপ্ত ইনিংস খেলে যান তিনি। কিন্তু তিনি আউট হওয়ার পরের ১৪.৩ ওভারে ১৪২ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ডি ককের পাশাপাশি বিধ্বংসী ব্যাটিং করেন ক্লাসেন। এই ম্যাচে তিনি শতরান পাননি। কিন্তু মাত্র ৪৯ বল খেলে আটটি ছক্কা এবং দুটি চার সহ ৯০ রান করে বাংলাদেশের কোমর ভেঙে দিয়ে যান এই দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা।
আরও পড়ুন: সচিনের সেঞ্চুরির রেকর্ড এখনও ছুঁতে পারেননি, কিন্তু ম্যাচ উইনার হিসাবে এগিয়ে গিয়েছেন কোহলি
ধ্বংসলীলার সমাপ্তি ঘটান ডেভিড মিলার। ১৫ বলে ৩৪ রানের একটি ক্যামিও খেলে গিয়ে তিনি বাংলাদেশকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর আগেই ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মেহেদী হাসান এবং নাসুম আহমেদ ছাড়া প্রত্যেকে অনেক রান বিলিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাবরের পাকিস্তানের সেমিফাইনালে ওঠা এখন নির্ভর করছে রোহিতের ভারতের ওপর! জানুন কিভাবে
রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের সকল অভিজ্ঞ ব্যাটাররা এদিন ব্যর্থ। একক ভাবে লড়াই করে বাংলাদেশের সম্মান রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। শেষপর্যন্ত ১১১ বলে ১১১ রান করে তিনি আউট হন। বিশ্বকাপের মঞ্চে এটি তার তৃতীয় শতরান। কিন্তু ন্যূনতম সাহায্য পাননি উল্টো দিক থেকে। ২৩৩ রানে তারা অলআউট হয়। ১৪৯ রানের বিরাট ব্যবধানে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়া প্রায় নিশ্চিত সাকিবদের। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে এদিন সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন জেরাল্ড কোয়েটজি। প্রত্যেক দক্ষিণ আফ্রিকান বোলারই এদিন উইকেট পেয়েছেন।