বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ ব্যাট হাতে মরিয়া লড়াই করলেন কুশল মেন্ডিস, চারিথা আশালঙ্কা, দাসুন শানাকা। স্কোরবোর্ডে ৩২৬ রানের স্কোর তোলার পরেও ১০২ রানের ব্যবধানে হারতে হলো শ্রীলঙ্কাকে। ইতিহাস গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ম্যাচ জেতালেন ডি কক, ভ্যান ডার ডুসেন, এইডেন মার্করমরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা বেদম রান বিলিয়েও নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট নিয়ে গেলেন। ফলে দুর্দান্ত জয় পেলো দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই দল মিলিয়ে উঠলো ৭৫৪ রান। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ। এছাড়া দ্রুততম শতরান (মার্করম) এবং বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলগত স্কোরের (৪২৮) রেকর্ডও হলো আজকের ম্যাচে।
অরুণ জেটলী স্টেডিয়ামে যারা বিশ্বকাপের চতুর্থ ম্যাচটি দেখতে গিয়েছেন, তাদের সবার পয়সা উসুল হয়ে গেল। অসহায় শ্রীলঙ্কার বোলারদের কার্যত ধ্বংস করে দিলেন কুইন্টন ডি কক, ভ্যান ডার ডুসেন, এইডেন মার্করমরা। একাধিক রেকর্ড গড়ে ১৯৯২ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সামনে জয়ের জন্য ৪২৯ রানের টার্গেট রাখলো দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ইনিংসেই যেন ম্যাচের ফলাফল ঠিক হয়ে গেল।
এদিন প্রথম ইনিংস শেষ হবার পর যাবতীয় নজর নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিলেন আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অধিনায়কত্বের দায়িত্বে থাকা এইডেন মার্করম। দিল্লির মাঠে তিনি আগেও খেলেছেন। কিন্তু আজ যে ইনিংসটি তিনি খেললেন তা কেউ কোনওদিনও ভুলতে পারবেন না। ভিত গড়ে দিয়ে গিয়েছিলেন ডি কক-রা। ৫৪ বলে ১৪টি চার এবং ৩টি ছক্কা সহ ১০৬ রান করে ওই ভিতের ওপর পাহাড়প্রমাণ রানের ইমারত গড়লেন মার্করম। ২০১১ সালে ভারতের মাটিতে হওয়া বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আয়ারল্যান্ডের কেভিন ও-ব্রায়েনের রেকর্ড ভেঙে বিশ্বকাপে ৪৯ বলে অর্থাৎ দ্রুততম শতরানের রেকর্ডটি আজ নিজের নামে করে নিলেন তিনি।
তার আগে এদিন বিশ্বকাপের ইতিহাসে ১৯৯ এবং ২০০ তম শতরানটি করেছিলেন প্রোটিয়া ওপেনার কুইন্টন ডি কক এবং তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা রাসি ভ্যান ডার ডুসেন। ৮৩ বলে নিজের শতরান সম্পূর্ণ করেছিলেন ডি কক। মেরেছিলেন ১২টি চার এবং তিনটি ছক্কা। ওডিআই বিশ্বকাপ খেলেই তিনি অবসর নেবেন ওডিআই ফরম্যাট থেকে এটা তিনি জানিয়ে দিয়েছেন। ভারতের মাটিতে আয়োজিত বিশ্বকাপটিকে যে স্মরণীয় করে রাখতে চান তিনি, তা প্রথম ম্যাচ থেকেই বুঝিয়ে দিলেন। এছাড়া ১১০ বলে ১০৮ রান করেছিলেন ভ্যান ডার ডুসেন।
আরও পড়ুন: BCCI বা দ্রাবিড়ের জন্য না, বিশ্বকাপে নামার আগে বিশেষ কারণে ভয়ে কাঁপছেন এক ভারতীয় ক্রিকেটার
শ্রীলঙ্কার হয়ে ৩ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৪২ বলে ৪টি চার ও ৮টি ছক্কা সহ ৭৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে রাবাডার শিকার হন কুশল মেন্ডিস। আর ১০ ওভার তিনি থাকলে ম্যাচের হাওয়া উল্টো দিকে ঘুরে যেতো বলে ধারণা অনেকের। এরপর চারিথা আশালঙ্কা ৬৫ বলে ৭৯ এবং দাসুন শানাকা ৬২ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেগুলি যথেষ্ট ছিল না। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন পেসার জেরাল্ড কটজে। ২ টি করে উইকেট পান নেন মার্ক জেন্সন, কেশব মহারাজ ও কাগিসো রাবাডা। ১ টি উইকেট নেন লুঙ্গি এনগিডি। দ্রুততম শতরান করে ম্যাচের সেরা হন এইডেন মার্করম।