কোথায় অবস্থান করছে ঘূর্ণাবর্ত? দক্ষিণবঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা কতটা? লেটেস্ট আপডেট

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বঙ্গোপসাগরের উপর বর্তমানে যে ঘূর্ণাবর্তটি অবস্থান করছে সেটি যদি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় তাহলে তার নাম হবে ‘রেমাল’। সরকারিভাবে এখনো এই ঝড়ের নামকরণ করা হয়নি। এই নামকরণ হয়েছে ২০২০ সালে মৌসম ভবনের পেশ করা ঘূর্ণিঝড়ের তালিকা অনুযায়ী। এখন জোরচর্চা চলছে এই নিয়ে যে সাইক্লোন ‘রেমাল’ দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) আছড়ে পড়বে কিনা?

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর মঙ্গলবার জানিয়েছে, পূর্ব বাংলাদেশ ও সংলগ্ন এলাকার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১.৫ থেকে ৫. ৮ কি.মি উপরে রয়েছে এই ঘূর্ণাবর্ত। এছাড়াও হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ থেকে বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ হয়ে পূর্ব বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত আছে একটি অক্ষরেখা। এছাড়াও দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপকূলে অবস্থান করছে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত।

আরোও পড়ুন : সব আশা শেষ! রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট, দীর্ঘদিনের এই মামলার ফলে কপাল চাপড়াচ্ছেন সরকারী কর্মীরা

এর জেরে একটি নিম্নচাপ বলয় তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে, যেটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে আগামী শুক্রবার। রেমালের সম্ভাবনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর বলছে, এই নিম্নচাপ বলয়টি উত্তর পূর্বে অগ্রসর হয়ে নিম্নচাপ তৈরি করতে পারে। এছাড়া পরবর্তীকালে এই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পরিস্থিতিও তৈরি হচ্ছে সাগরে।

আরোও পড়ুন : এই ভাষাটিতেই সবথেকে বেশি মানুষ কথা বলে বিশ্বজুড়ে! উত্তর শুনলে চোখ কপালে উঠবে

তবে এখনো নিশ্চিত নয় যে ঘূর্ণিঝড় আসবেই।আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে  ইতিমধ্যেই প্রবেশ করেছে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। এই বায়ুর প্রভাবেই দেশে আসে বর্ষা। এই মৌসুমী বায়ু ঘূর্ণিঝড় তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তাই যেকোনো মুহূর্তে বদলে যেতে পারে পরিস্থিতি।

Weather Cyclone

বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণ ও উত্তরের সব জেলাতেই রয়েছে বৃষ্টির (Rainfall) পূর্বাভাস। আবার নিম্নচাপের জেরে আগামী শুক্রবার থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বাংলার একাধিক জায়গায়। বুধবার বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের (North Bengal) একাধিক জেলায় বৃষ্টির সাথে ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর