‘বাংলায় কাজ নেই, তাই বাধ্য হয়ে…’, বুক থেকে পাথর নামলেও আক্ষেপের সুর হুগলীর সৌভিকের মায়ের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : একদিন বা দুদিন নয়, টানা ১৭ দিনের লড়াই। অবশেষে সাফল্য এল। দিনরাত কঠিন স্নায়ুযুদ্ধের পর অবশেষে ছেলের খবর এল মায়ের কানে। পুরশুড়ার হরিনাখালি গ্রামে সৌভিকের বাড়িতে থাকা সকলেই যেন তখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। তবুও সৌভিকের মা লক্ষ্মী পাখিরার গলায় ঝরে পড়ল আক্ষেপ।

সৌভিকের মায়ের আক্ষেপ:

তবে সেই আক্ষেপ যে শুধুই লক্ষী দেবী এমনটা নয়, বরং বলা যায় বাংলার হাজার হাজার সন্তানের মা-বাবার মনের কথাই যেন বললেন তিনি। বাংলায় কাজের অভাবের জন্যই ছেলে-মেয়েকে ভিনরাজ্যে কাজে যেতে হচ্ছে বলেই উল্লেখ করেন সৌভিকের মা। পাশাপাশি তিনি আরোও বলেন, ঝুঁকির জীবন বড়ই বেদনাময়।

আরোও পড়ুন :একী কাণ্ড, চলন্ত ট্রেনে বিয়ে! ট্রেনের মধ্যে সিঁদুরদান হতেই থ সকলেই, মুহুর্তে ভাইরাল ভিডিও 

লক্ষ্মী পাখিরার বক্তব্য :

মঙ্গলবার উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধারের পরই বাড়িতে ফোন করে মায়ের সঙ্গে কথা বলেন সৌভিক পাখিরা। তারপর স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে মা লক্ষ্মী জানান, ‘আমি বললাম বাবা কেমন আছিস রে…বলল, আমি ঠিক আছি, ১৭ দিন যে টানেলে ছিলাম তার কোনও কিছু নেই। ছেলের হাসিমুখ দেখতে পাচ্ছি, বুক থেকে পাথর নেমে গেল।’ সরকারের কাছে তার আবেদন, ছেলের যেন এখানেই কাজ পায়।

1700011408 how1

সৌভিক কি ফের উত্তরাখণ্ডে যাবে?

সৌভিক পাখিরার মা জানিয়েছেন, সে যদি আবার যেতে চায় যাবে। আপাতদৃষ্টিতে সন্তানের সাথে কথা বলে টেনশন কিছুটা কমলেও আক্ষেপ নিয়ে তিনি আরোও বলেন, ‘বাংলায় কাজ নেই, তাই বাধ্য হয়ে বাইরে কাজ করতে হচ্ছে। ছেলে ইলেকট্রিক্যাল ডিপ্লোমা করেছে, চাষ করে কি আর সংসার চলে, তাই যেতে হচ্ছে। মা হিসেবে চাই ছেলে এখানেই থাকুক।’

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর