বাংলাহান্ট ডেস্কঃ নারদ মামলায় ৪ হেভিওয়েটের জামিন স্থগিত হতেই, প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। সেখানে গিয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায় (sovan chatterjee)। তৎক্ষণাৎ তাঁদের এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এবার এই মামলায় ধৃতরা জামিন পেতেই, শোভনবাবুকে আর হাসপাতালে রাখতে নারাজ বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (baisakhi banerjee)।
বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, হাসপাতালে ঠিকমত চিকিৎসা হচ্ছে না শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শুধু শুধু শোভনবাবুকে আটকে রেখেছে বলেও অভিযোগ করেন। এমনকি শোভনের আইনজীবী প্রতিমপ্রিয় দাশগুপ্ত, এসএসকেএম-হাসপাতাল ও প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষকে ৫টি চিঠিও দিয়েছেন।
এবিষয়ে তিনি দাবি করেন, ‘কোনরকম টেস্ট না করেই রটে গিয়েছে, শোভনের সিরোসিস লিভার রয়েছে। কিন্তু হাসপাতালের পক্ষ থেকে তো এরকম কোন টেস্ট করাই হয়নি। শোভনের যা অসুখ রয়েছে, তা গত ৮ বছর আগেকার। এখন নতুন করে কোন রোগ নেই তাঁর শরীরে। আর বর্তমানে এই করোনা আবহে তাঁকে হাসপাতালে রাখাটাও ঠিক নয়’।
এরপর বৈশাখী বলেন, ‘ডায়াবিটিস থাকার কারণে শোভন অস্থির হয়ে পড়ছেন। আবার করোনার ভয়ও পাচ্ছেন তিনি। উনি এখন সুস্থ আছেন, কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ না ছাড়ায় আরও অসুস্থ বোধ করছেন। উনি হাউস অ্যারেস্টেই থাকুক, কিন্তু বাইরে থেকে চিকিৎসা করাতে চাই। কখনও বলা হচ্ছে ওঁকে আমার সঙ্গে যেতে দেওয়া হবে না। হাইকোর্ট তো বাড়ি যেতে বলেছে। কিন্তু কোন বাড়ি তা তো নির্দিষ্ট করে দেয়নি’।
শোভনকে হাসপাতাল থেকে না ছাড়ার পেছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে বলে ধারণা বান্ধবী বৈশাখীর। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (kunal ghosh) বলেন, ‘জেলে থাকাকালীন অসুস্থ থাকায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর এখন বলছে সে সুস্থ। একজন মহিলার কথায় তো আর সব হবেনা, হাসপাতালের কিছু নিয়ম আছে, তা মেনেই সব হবে। আর হাসপাতালে কি মধুচক্রের আসর বসানো হয়েছে? উনি এঘরে ওঘরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন?’
কুণাল ঘোষের এমন কূমন্তব্যের জবাবে শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ, আমাকে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে। আর বৈশাখীকে যিনি আক্রমণ করেছেন, তাঁর উদ্দেশ্যে বলব- এসব কথা আপনার মুখে মানায় না, একবার নিজের দিকটাও দেখবেন। উনি নিজের মুখ নিয়েই পুড়িছেন, মুখ পোড়া হনুমান একটা!’
পাল্টা আক্রমণ করতে ছাড়েননি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও নেতা মদন মিত্রের সঙ্গে কথা বলাটা কি মধুচক্র চালানো? তাহলে এনারাও এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত’।