বাংলা হান্ট ডেস্ক : রাজ্য রাজনীতির চর্চায় উঠে আসেন প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের (Sovan Chatterjee) সঙ্গে ‘পরকীয়া’র সম্পর্কে জড়িয়ে। এর আগে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Baishakhi Bandyopadhyay) ছিলেন মিল্লি আমিন কলেজের অধ্যাপিকা এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা। তবে হঠাৎ করেই আটকে পড়েন প্রেমিক শোভনের সঙ্গে। তারপর থেকেই নিন্দুকদের কটাক্ষ, কটূক্তিতে জেরবার এই প্রেমিক যুগল। যদিও সেসবকে থোড়াই পাত্তা দেন তারা!
বিগত কয়েক বছর ধরেই এই পুজোর সময়টা বৈশাখী একটু বেশিই ট্রেন্ডিং-এ থাকেন। সৌজন্যে, তার ফ্যাশন স্টেটমেন্ট। বৈশাখীর শাড়ির কালেকশন থেকে গয়না, সাজপোশাক সবেতেই থাকে নেটিজনদের তীক্ষ্ম নজর। এই বছর পুজোতেও বৈশাখীকে ডজন খানেক শাড়ি কিনে দিয়েছেন শোভন। যদিও কেবল পুজো বলে নয়, বাজারে কোনো শাড়ি শোভনের পছন্দ হলেই সেটা তিনি বৈশাখীর জন্য কিনে ফেলেন।
কিছুদিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে বৈশাখী জানিয়েছিলেন, ‘ব্ল্যাকের প্রতি শোভনের ফ্যাসিনেশন রয়েছে।’ যদিও এবার পুজোয় তিনি কিনেছেন গোলাপী সুতোয় কাজ করা বালুচরি। পাশাপাশি শোভন উপহার দিয়েছেন, কালো রঙা ভারী সিল্কের একটি শাড়ি। শোভন প্রেমিকার কথায়, ‘দিন কয়েক আগে একটা দোকানের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম, আমাকে বলল দু-মিনিট দাঁড়াও। ভাবলাম সিগারেট খেতে গিয়েছে হয়তো, পরে দেখলাম এই শাড়ি নিয়ে হাজির। শাড়িটা দোকানের ডিসপ্লে-তে সাজানো ছিল’।
আরও পড়ুন : ‘কোর্টে আমার মুখ চলে…’, পুজোর ধামাকা! ‘গীতা LLB’ আসতেই বন্ধ হচ্ছে স্টার জলসার এই মেগা
তবে এবারের পুজোটা যেন একটু বেশিই স্পেশাল। কারণ এবার শোভনের পাশাপাশি মেহুলও মায়ের জন্য শাড়ি কিনে এনেছে। যদিও এটা সে শোভনের সাথে গিয়েই কিনেছে। আর সেই শাড়িটি তিনি পরবেন অষ্টমী বা নবমীর দিন। উল্লেখ্য, বৈশাখীর মেয়ে মেহুলও শাড়ি নিয়ে বেজায় শৌখিন। সে নিজেও শাড়ি পরতে বড্ড ভালোবাসে। যদিও মায়ের শাড়ি ভর্তি আলমারিতে হাত দেয় না সে।
আরও পড়ুন : TRP-র চক্করে টলমল চ্যানেল! রাতারাতি বদলে গেল জি বাংলার সিরিয়ালের টাইম, রইল নতুন সময়সূচি
এসব ছাড়াও শোভন তার প্রিয়তমার জন্য কিনেছেন, স্লেট রঙা একটি জামদানি এবং নীল-সবুজ রঙের একটি কাঁথাস্টিচ। এগুলি নাকি শান্তিনিকেতন থেকে কিনে এনেছেন শোভন। পাশাপাশি মাহীশূর থেকে কেনা তসরের একটি শাড়িও রয়েছে বৈশাখীর আলমারিতে। এটিও তিনি পুজোর কোনও একদিন পরবেন বলে ঠিক করেছেন। এইদিন বৈশাখি বলেন, ‘আমি কিন্তু শুধু শাড়ি গিফট পাই না, শোভন আমাকে প্রত্যেক পুজোয় বই দেয়। এবার কিরা ক্যাসের সিরিজটা কিনব বলে ঠিক করেছিলাম, কিন্তু পাঁচটার মধ্যে মাত্র দু-টো বই পেলাম। কিনে দিয়েছে দিয়েছে, তবে আবার মিষ্টি করে লিখে দিয়েছে।’
আরও পড়ুন : ছোটতেই অনাথ, খাবারও জুটতোনা! পরান বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনকাহিনী শুনলে চোখে জল আসবে
জানা গেল, শোভন বই কেনার পর তার ভেতর মিষ্টি করে চিরকুটও লিখে দেন। এই যেমন ‘দ্য ক্রাউন’ বইয়ের মলাটের ভিতর শোভন লিখেছেন, ‘তোমার জন্যও একটা মুকুট অপেক্ষা করছে এই পুজোয়, সঙ্গে অনেক ভালোবাসা-ইতি শোভন’। আর ‘দ্য বিট্রেয়েড’ বইটির ভিতর লেখা রয়েছে, ‘আমার প্রিয়তমা বৈশাখীর জন্য এই পুজোয়… শোভন’।