বাংলা হান্ট ডেস্ক : প্রায় দু বছর আগে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বৈবাহিক সম্পর্কের টানাপড়েন ঘিরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাননের সঙ্গে দিদির সম্পর্কে কিছুটা হলেও চিড় ধরেছিল,যা দেখে অনেকেই বলেছিলেন কানেনর গোঁসা হয়েছে। কিছুটা হলেও তা সত্যিই বটে। তারপর থেকে দলের সঙ্গে দূর্তব বাড়তে থাকে শোভনের। এরপর মেয়র পদ, মন্ত্রীত্ব পদ থেকে ইস্তফাও দিয়ে দেন। তারপর বান্ধবী বৈশাখীর হাত ধরে সোজা গোরুয়া বাহিনীতে পাড়ি।
যদিও কয়েক বছরের ঘটনা নয়। মাত্র তিন মাস আগের। কিন্তু বিজেপিতে যোগ দিয়ে যেমনটা হতে পারে বলে আশা করেছিলেন মুকুল রায় ঠিক তেমনটা হল না। আর তাইতো দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে থাকলেন। আর এভাবেই বিজেপিতে যোগ দিয়েই চতাঁর বিজেপি ছাড়ার জল্পনা ছড়ায়।দলের সেভাবে সক্রিয়তাও দেখাতে দেখা যায়নি শোভনকে। অবশেষে ভাইফোঁটার দিন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ভাইফোঁটা নিতে গিয়ে দিদর সঙ্গে মনোমালিন্য শেষ করে দিলেন শোভন।
এবারের বিধায়কদের বৈঠকেও তাঁর থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী কাল বৃহস্পতিবার শোভনের দলে যোগ দেওয়ার কথা। আর এরই মধ্যে শোভনের বিজেপি ছাড়া নিয়ে ব্যাপক তরজা শুরু হয়েছে রাজ্ রাজনৈতিক অন্দরে। তবে, কী ঘরের ছেলে ঘরে ফিরছেন? সম্ভাবনা আরও উস্কে দিয়ে, ঠিক তার পরপরই নিরাপত্তা বেড়েছে শোভনের। নবান্নের তরফে শোভনের নিরাপত্তা ফেরিয়েও দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে কারোর বুঝতে বাকি নেই তিনি এবার তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেনই।
তবে মুখে কিছু বলেননি, কিন্তু ইচ্ছে ষোলআনা।তবে আগামী কালের বৈঠকের পরই যাবতীয় রহস্য ভেদ হবে। তাই অপেক্ষার আরও কয়েকঘন্টা।তবে আদৌ কি তিনি তৃণমূলে যোগ দেবেন, বৈঠকে যোগ দেবেন কি না, সবটাই এখনও ধন্ধে। জল্পনা যাই হোক না কেন, লাখ টাকার প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।