বাংলা হান্ট ডেস্ক- গতকাল হঠাৎ ই বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকে পদত্যাগ করলেন এক সময় মমতা ব্যানার্জির ঘনিষ্ঠ মন্ত্রিসভার মন্ত্রী ও কলকাতা পৌরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, তিনি কাল লিখিতভাবে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বাবুর হাতে চিঠি দিয়ে জানায়।
তারপরেই হঠাৎই কলকাতা থেকে দিল্লির বিমানে দেখা যায় শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় কে। কি কারণে তারা দিল্লি যাচ্ছে তা পষ্ট ভাবে কিছুই বলেননি কিন্তু সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে গতকালই বিজেপি নেতৃত্ব সাথে কথা হয়েছে। মুকুল রায়ের সাথে একাধিকবার ফোনে কথা হয়েছে শোভন ও বৈশাখী সাথে।
তারপর দিল্লির কেন্দ্রীয় ভবনে যোগদান করতে চলেছে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। যদি সত্যিই তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করে তাহলে কলকাতা পৌরসংস্থার ভোট নিয়ে বেশ কিছুটা চিন্তার পড়বে তৃণমূল কারণ রাজ্য রাজনীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র শোভন চট্টোপাধ্যায় । দক্ষিণ ২৪ পরগনা একসময় পুরো দায়িত্ব সামলেছেন অর্থাৎ তালুর মতন দক্ষিণ ২৪ পরগনায়কে চেনে।
যদি সত্যি শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগদান করে তাহলে দক্ষিণ কলকাতার বেশ কিছুটা অংশ শোভন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে এবং আবারো উজ্জীবিত হবে বিজেপি কিন্তু তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এখনও কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি বলে জানা যাচ্ছে। যদি সত্যি শোভন চট্টোপাধ্যায় যোগ দেয় তাহলে সেখানে দক্ষিণ ২৪ পরগনা বেশ কয়েকজন যোগদান করতে পারে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে এবং আবারো ময়দানে রাজনীতির ময়দানে নামতে চলেছে শোভন এবং বৈশাখী, এর ফলে লাভবান হবে বিজেপি কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক বিষয় দেখতেন এই শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাই কোন রকম ভাবে সব রকম ভাবে মুখ খোলার চেষ্টা করবে বিজেপি এবং মমতা ব্যানার্জির যদি কোনো দুর্নীতি আবার প্রকাশ্যে আনে তাহলে তৃণমূলের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে।
এখন দেখার বিষয় বিজেপিতে যোগদান করে কিনা নাকি আর যদি করে তাহলে কতটা চাপে পড়বে তৃণমূল সেইদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
কারন পরের বছর কলকাতা পৌরসভা সভার ভোট ছোট লাল বাড়ির দখল যদি বিজেপি করতে পারে তা হলে বিধানসভাতে বেশ কিছুটা চাপে পড়বে।