বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: কাতার বিশ্বকাপের শেষ ১৬ পর্বের প্রথম অঘটন। শক্তিশালী স্পেনকে ছিটকে দিলো মরিয়া মরক্কো। ১২০ মিনিট দুর্দান্ত ডিফেন্ডিং করার পরে পেনাল্টি শ্যুট আউটে ২০১০ বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বাজিমাত আফ্রিকার দলটির
গোটা টুর্নামেন্টে মরক্কো নজর কেড়েছিল নিজেদের দুর্দান্ত ডিফেন্ডিংয়ের জন্য। বেলজিয়াম, ক্রোয়েশিয়ার মত দল তাদের বিরুদ্ধে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছিল। আজও নিজেদের ডিফেন্স সামলে কাউন্টার অ্যাটাকে স্পেনকে বিদ্ধ করার ছক নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন অ্যাটলাস লায়ন্সরা। অপরদিকে গ্রুপের প্রথম ম্যাচটি বাদ দিয়ে বাকি দুটি ম্যাচে যাবে জাপান এবং জার্মানির বিরুদ্ধে একটুর বেশি গোল করতে ব্যর্থ হয়েছিল স্পেন।
গোটা ম্যাচ জুড়ে ৭৭ শতাংশ বলের দখল নিজেদের কাছেই রেখেছিল স্প্যানিশ দল। কিন্তু তাদেরকে গোটা ১২০ মিনিট জুড়ে খুব বেশি ক্লিয়ার কাট সুযোগ তৈরি করতে দেয়নি মরক্কো ডিফেন্স। মরক্কো প্রতিআক্রমণে যে খুব বেশি সুযোগ তৈরি করেছিল তা নয়। কিন্তু মরক্কোর গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনোর মতোই স্পেনের গোলরক্ষক উনাই সিমোন ভালো কিছু সেভ করেন। স্পেনের এসেন্সিও বা আলভারো মোরাতারা যে সুযোগ পাননি, এমন নয়। কিন্তু তারা সেগুলি কাজে লাগাতে পারেননি। ১২০ মিনিটের একদম শেষ মিনিটে পাবলো সারাবিয়ার শট পোস্টে লেগে বেরিয়ে যায়। ফলে খেলা গড়িয়েছিল পেনাল্টি শ্যুট আউটে।
এটি চলতি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় পেনাল্টি শ্যুট আউট। কিন্তু কোস্তারিকার বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয়ের মাধ্যমে অভিযান শুরু করা স্প্যানিশ দলের পেনাল্টি টেকাররা চাপের মুখে ভেঙে পড়েন টাইব্রেকারে। সারাবিয়ার শট পোস্টে লাগে এবং কার্লোস সোলার ও সার্জিও বুস্কেটসের বাকি দুটি পেনাল্টি সেভ করেন মরক্কোর গোলরক্ষক। একটি পেনাল্টি সেভ করেছিলেন স্প্যানিশ গোলরক্ষক সিমোনও। কিন্তু দলের চতুর্থ পেনাল্টি কনভার্ট করে মরক্কো কে কোয়ার্টার ফাইনালে তুলে নিয়ে যান তাদের তারকা সাইড ব্যাক আশরাফ হাকিমি। আফ্রিকার একমাত্র দল হিসেবে বিশ্বকাপের টিকে রইল তারা।