বাংলা হান্ট ডেস্ক : ‘সত্য সেলুকাস কী বিচিত্র এই দেশ’, আলেকজান্ডারের এই শব্দবন্ধটি যে কতটা সত্য তা আমরা সকলেই জানি। আর তাই তো বোধহয় বিশ্বজুড়ে মানুষজন বারবার ছুটে আসে এই দেশের বৈচিত্র্য অনুভব করতে। সেই আশা নিয়েই ভারতে এসেছিলেন বছর ৩৫ এর এক স্প্যানিশ পর্যটক (Spanish Woman)। কে জানত, বৈচিত্র্যে ভরপুর এই দেশে তাকে এমন ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হবে!
স্পেনের এই মহিলা কিন্তু একা আসেননি। তার সাথে ছিলেন তার স্বামীও। স্বামীকে বেঁধে রেখে তার সামনেই গণধর্ষিতা হতে হয়েছে তাকে। ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) বুকে ঘটে যাওয়া এই মর্মান্তিক ঘটনায় নিন্দার ঝড় দেশজুড়ে। তার সাথে সমালোচনা শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক মিডিয়াতেও। ঠিক কী হয়েছিল সেদিন? শুক্রবার রাতের অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন ওই স্প্যানিশ মহিলা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নির্যাতিতা ঐ মহিলা এবং তার স্বামী আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এইদিন হাসপাতাল থেকেই একটি ভিডিওবার্তায় নিজের মর্মান্তিক অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন তিনি। তার কথায়, ‘সাত জন লোক মিলে আমাকে ধর্ষণ করেন। শুধু তা-ই নয়, আমাদের মারধর করে সঙ্গে থাকা জিনিস ছিনতাইও করেন। তবে বেশি কিছু নাননি তারা, কারণ তাদের উদ্দেশ্যই ছিল আমাকে ধর্ষণ করা। হাসপাতালে আমরা এখন পুলিশি পাহারায় রয়েছি।’
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভারতীয় সংস্কৃতিকে কাছ থেকে দেখার জন্য এদেশে এসেছিলেন তারা। বৃহস্পতিবার তারা পৌঁছান ঝাড়খণ্ডে। এরপর দুটি বাইক নিয়ে তারা ঘুরতে বার হন শুক্রবার। এরপর রাত নামতেই খানিক বিশ্রাম করার জন্য রাস্তার ধারে বাইক থামান তারা। ঘড়ির কাঁটায় তখন প্রায় রাত ১০টা। এরপরেই জনা সাতেক যুবক তাদের উপর চড়াও হয়। ছিনতাই এবং মারধর করেই ক্ষান্ত থাকেনি তারা। পুরুষ সঙ্গীকে বেঁধে রেখে মহিলা সঙ্গীকে নির্জনে নিয়ে গিয়ে পালা করে ধর্ষণ করে তারা।
এইদিন ঝাড়খণ্ডের দুমকার থানার পুলিশ পীতাম্বর সিংহ জানিয়েছেন, প্রায় মধ্যরাতে একটি পুলিশের টহল ভ্যানের সামনে এসে পড়েন ঐ বিদেশী দম্পত্তি। তারাই তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যান স্থানীয় হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা সমস্ত পরীক্ষার পর জানিয়েছেন যে, মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। আর কালবিলম্ব না করে তড়িঘড়ি ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। সাতজন অভিযুক্তর চারজন ইতিমধ্যেই গ্রেফতারও হয়েছে বলে খবর। বাকি তিনজনকেও শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছে ঝাড়খণ্ড পুলিশ।