বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ডিএ (Dearness Allowance) মামলায় সুপ্রিম কোর্টে তৈরি হল নতুন বিশেষ বেঞ্চ। কিন্তু ২৬ নভেম্বর মামলাটি আদৌ শুনানিতে উঠবে কি না, তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা কাটছে না। এই নিয়েই উত্তেজনা ও উদ্বেগ একসঙ্গে চলছে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে।
পশ্চিমবঙ্গের সরকারি ও আধাসরকারি কর্মচারীরা বহুদিন ধরে বকেয়া ডিএ (Dearness Allowance)) পাওয়ার দাবি করে আসছেন। দীর্ঘদিন ধরে মামলার শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় তাঁদের হতাশাও বাড়ছিল। এর মধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট নতুন করে ডিএ মামলার জন্য বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেছে, যা অনেকের কাছে নতুন আশা তৈরি করেছে।
কারা আছেন এই মামলার (Dearness Allowance) বেঞ্চে?
নতুন বিশেষ বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্র। এই দুই বিচারপতি আগেও দীর্ঘ সময় ধরে ডিএ মামলা শুনেছেন। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বেঞ্চ আজ, ২৬ নভেম্বর দুপুর ২টোর সময় সুপ্রিম কোর্টের ১৩ নম্বর কোর্টরুমে বসবে। এ খবর সামনে আসতেই কর্মচারীদের মধ্যে তীব্র চঞ্চল্য শুরু হয়েছে।
তবে এই মামলায় আশার সঙ্গে সঙ্গে দুশ্চিন্তার কারণও রয়েছে। আগেও বহুবার বিশেষ বেঞ্চ বসলেও কজ লিস্টে ডিএ মামলা না ওঠায় নির্ধারিত দিনে শুনানি হয়নি। তাই এবারও একই ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।
কজ লিস্টে এখনও নেই মামলার নাম
এখন পর্যন্ত নিয়মিত Cause List–এ ডিএ (Dearness Allowance) মামলার উল্লেখ নেই। সুপ্রিম কোর্টের Supplementary List-এ নাম ওঠার সম্ভাবনা থাকলেও, তাতেও এখনও মামলার নাম পাওয়া যায়নি। ফলে ২৬ তারিখে আসলে কী হবে তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত।
কর্মচারী সংগঠনের সতর্ক বার্তা
কনফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “বেঞ্চ গঠন অবশ্যই ইতিবাচক খবর। কিন্তু মামলা লিস্টে উঠবে, এমন নিশ্চয়তা নেই। অতীতেও বেঞ্চ বসেছে, কিন্তু মামলা ওঠেনি। তাই এখনই খুব বেশি আশা করা ঠিক হবে না।”

আরও পড়ুনঃ ‘ঝুঁকির মুখে গণতন্ত্র’, সংবিধান দিবসে বিজেপিকে খোঁচা! কী বললেন মমতা?
বর্তমান ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে মামলা নিয়ে লড়াই করছেন। তাঁদের আশা সুপ্রিম কোর্ট শিগগির চূড়ান্ত রায় দেবে এবং বকেয়া মহার্ঘ ভাতা পাওয়ার পথ খুলবে। কিন্তু বারবার শুনানি পিছিয়ে যাওয়া তাঁদের হতাশ করছে। এই অবস্থায় আজ, ২৬ নভেম্বর শুনানি হবে কি না, পুরোটাই নির্ভর করছে Supplementary List-এর ওপর। শেষ মুহূর্তে যদি সেখানে ডিএ (Dearness Allowance) মামলার নাম ওঠে, তাহলে শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে বলে খবর।












