বগটুই নিয়ে বিশাল তৎপর CBI, রায় দানের পরপরই রামপুরহাটের উদ্দেশ্যে রওনা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার

বাংলাহান্ট ডেস্ক : রামপুরহাট গণহত্যা কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর তারপর থেকেই তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। এই রায়ের বিরোধীতা করতে মাঠে নেমেছে তৃণমূল। এরই মধ্যে আজই বগটুই গ্রামে পৌঁছচ্ছে বিশেষ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। ঘটনাস্থলে পৌঁছে নমুনা সংগ্রহ করবে এই ফরেন্সিক দল। কীভাবে আগুন লেগেছিল, কী পদার্থ ব্যবহার করা হয়েছিল আগুন লাগাতে খতিয়ে দেখা হবে সবকিছুই।

বৃহস্পতিবার আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছিল যে, দ্রুত তদন্ত করে পুরো ঘটনা সামনে আনতে হবে। এও নিশ্চিত করতে হবে ঘটনাস্থল থেকে কোনও তথ্যপ্রমাণ যাতে নষ্ট না হয়। ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাগুলির সব জায়গায় সিসিটিভি লাগাতে হবে। আদালতের নির্দেশ ছাড়া বন্ধ করা যাবে না সেই ক্যামেরা। একদিনের মধ্যেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, ২৪ ঘন্টা পেরোলেও কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি রাজ্য সরকার। এমনকি সিসিটিভিও লাগানো হয়নি ঘটনাস্থলে। এর জেরেই আদালতের চূড়ান্ত রায়ের মাত্র কিছুক্ষণের মধ্যেই বাগটুই গ্রামে যাচ্ছে সিবিআইয়ের বিশেষ দল।

রামপুরহাট কাণ্ডে আর কোনওরকম তদন্ত করতে পারবে না রাজ্য এমনটাও জানানো হয়েছে হাইকোর্টের তরফে। এমনকি ধৃতদেরও তুলে দিতে হবে সিবিআইয়ের হাতেই। পুরো ঘটনার রিপোর্ট ৭ এপ্রিলের মধ্যেই জমা দিতে হবে আদালতে।

এদিন শুনানির সময় আদালত সাফ জানায় যে, ‘রামপুরহাটের ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং হৃদয়গ্রাহী। জনমানসে যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে এই ঘটনা। আইনের উপর মানুষের আস্থা রাখতে উপযুক্ত তদন্তের প্রয়োজন। যাতে প্রকৃত সত্য সামনে আসে।’ এরপরই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় এই মামলায়।

হাইকোর্টের এই রায়ের বিরোধীতায় মাঠে নেমেছে তৃণমূল। যুব তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য ট্যুইট করে লেখেন, ‘সব তদন্তই যদি সিবিআই করবে তাহলে রাজ্য সরকার রাখার মানে কী? আদালত, রাজ্যপাল এবং সিবিআই মিলেই তবে রাজ্য চালাক! নির্বাচিত সরকারের প্রয়োজন নেই।’ অন্যদিকে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, ‘ সিবিআইকে কিনে রেখেছে বিজেপি। সেই কারণেই শুধু পশ্চিমবঙ্গেই এত ঘনঘন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।’ পুরো ঘটনায় যে তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর বা বলাই বাহুল্য।


Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর