মানুষের ভুলেই এত বড় দুর্ঘটনা, আত্মহত্যার প্রবণতা ছিল পাইলটের! আহমেদাবাদ দুর্ঘটনা নিয়ে বোমা ফাটালেন বিশেষজ্ঞ

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : এক মাস পর নতুন করে সংবাদ শিরোনামে আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা (Ahmedabad Plane Crash)। সৌজন্যে দুর্ঘটনার তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট যা সম্প্রতি জমা দিয়েছে ‘এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো’। সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দুর্ঘটনার (Ahmedabad Plane Crash) আসল কারণ নিয়ে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনা ঘটেনি। এর মাঝেই একজন বিমান নিরাপত্তা বিশ্লেষকের দাবিতে শুরু হয়েছে শোরগোল।

আহমেদাবাদ দুর্ঘটনা (Ahmedabad Plane Crash) নিয়ে বিষ্ফোরক বিমান নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ

গত শনিবারই প্রকাশ্যে এসেছে ১৫ পাতার তদন্ত রিপোর্ট। সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, পাখির ধাক্কার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। দৃশ্যমানতা এবং বিমানের ওজন, ভারসাম্য সবই ঠিক ছিল। এই পরিপ্রেক্ষিতেই এক বিষ্ফোরক দাবি করেছেন দেশের অন্যতম বিমান নিরাপত্তা বিশ্লেষক ক্যাপ্টেন মোহন রঙ্গনাথন। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি দাবি করেছেন, রিপোর্টে অনুযায়ী দুর্ঘটনার (Ahmedabad Plane Crash) ঠিক আগে দুই ইঞ্জিনের জ্বালানির সুইচ ‘কাটঅফ মোড’এ চলে যায়। এরপর ব়্যাম এয়ার টার্বাইন চালু করা হয়।

Specialist claim sparks controversy regarding Ahmedabad Plane Crash

কী কারণে ঘটে দুর্ঘটনা: ওই বিশ্লেষকের দাবি, এর থেকে বোঝা যাচ্ছে, কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল না। এটা কোনও একজন পাইলটের কারণে হয়েছে যাঁর আত্মহত্যার প্রবণতা ছিল। সম্পূর্ণ মানুষের ভুলের জন্য এতবড় দুর্ঘটনা (Ahmedabad Plane Crash) ঘটল বলে দাবি করেছেন তিনি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, একজন পাইলট অপরজনকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘তুমি জ্বালানি বন্ধ করে দিলে কেন?’ অপর পাইলট উত্তর দেন, ‘আমি কিছু করিনি’।

আরও পড়ুন : ডায়েরির পাতায় শুধু লেখা এই দুই শব্দ! আগে থেকেই নিজের মৃত্যু টের পেয়েছিলেন উত্তম কুমার?

জ্বালানি সুইচ নিয়ে প্রশ্ন: ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যেতে ব়্যাম এয়ার টার্বাইন চালু করা হয়েছিল। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। এমতাবস্থায় রহস্য ঘনাচ্ছে জ্বালানির সুইচ নিয়ে। সেখানেই কি কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি (Ahmedabad Plane Crash) ছিল? কোনও মানুষের পক্ষে কি একই সঙ্গে দুটি জ্বালানির সুইচও বন্ধ করে দেওয়া সম্ভব? উঠছে প্রশ্ন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে খবর।

আরও পড়ুন : দুর্ঘটনার পর থেকেই বন্ধ কথা, ১ মাস পর কেমন আছেন ‘অভিশপ্ত’ বিমানের একমাত্র জীবিত যাত্রী? জানলে কষ্ট হবে

কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের তরফে আগে জানানো হয়েছিল, গত ২৪ শে জুন দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ব্ল্যাকবক্স আহমেদাবাদ থেকে দিল্লিতে নিয়ে আসা হয়েছে। সেদিন রাতেই শুরু হয় তথ্য উদ্ধারের কাজ। বিমানের সামনের ব্ল্যাক বক্স ক্র্যাশ প্রোটেকশন মডিউল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছিল বিবৃতিতে। পরেরদিন উদ্ধার হয় মেমরি মডিউল।